• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪

২৩ নাবিকের মুক্তি

মুক্তিপণের অংক জানায়নি জাহাজ কোম্পানি, রয়টার্স বলছে ৫০ লাখ ডলার 

প্রকাশিত: ২০:১০, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২০:১১, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
মুক্তিপণের অংক জানায়নি জাহাজ কোম্পানি, রয়টার্স বলছে ৫০ লাখ ডলার 

ছবি: জিম্মি ২৩ নাবিক (ফাইল ফটো)

কতো মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে তা জানায়নি এমভি আবদুল্লাহ কর্তৃপক্ষ। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাবিকদের মুক্তি দেয় সোমালি জলদস্যুরা। তবে সোমালি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া এবং ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজটি জব্দ করেছিল তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার সমান।

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। তবে জাহাজ উদ্ধারে কতো টাকা বা ডলার মুক্তিপণ দিতে হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া হয়নি। এটি জানাজানি হলে জলদস্যুরা উৎসাহিত হতে পারে। তাই এ তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) পথে রওয়ানা দেয়। সেখান পৌঁছাতে ১৯-২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী জাহাজে অথবা বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

এদিকে ঈদের রেশ না কাটতে এবং নতুন বছরের শুরুর দিনে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় নাবিক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে স্বস্তি। জিম্মি হওয়ার ৩১ দিন পর নাবিকরা মুক্তি পেলেন। এখন স্বজনরা নাবিকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে। কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: