• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:১৯, ৩ মে ২০২৪

আপডেট: ০০:২১, ৩ মে ২০২৪

ফন্ট সাইজ
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সমস্যা নয়। সত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো সমালোচনা করলে সেটা সরকার স্বাগত জানায়। যখন পরিকল্পিতভাবে অপতথ্যের প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন থামানোর জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়, অপতথ্য প্রচারের জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়; সেটিই সমস্যা তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে।

মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই কার্যকর, যখন এর ব্যবহার করা হয়। অপতথ্যের বিস্তৃতির মাধ্যমে যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়, তখন এটি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়। এটি সমাজে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং জনগণের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অপতথ্য প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি, জীবন উৎসর্গ করেছি এবং একটি দেশ তৈরি করেছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলব তখন সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোনো গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়। যখনই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করব, তা যেন গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হয়, অপব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এবং গণমাধ্যমের দ্রুততার সঙ্গে বিকাশ হয়েছে। সরকারের যদি গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইত না। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জলবায়ু ও পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে ১০০ বছরের পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ২১০০ সালে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী না হলেও, বাংলাদেশ এর অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে, তাই যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের সরকার মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে প্রতিবেদন বা সাংবাদিকতা সরকার অবশ্যই স্বাগত জানাবে। কারণ, ডেলটা প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ১০০ বছরে দীর্ঘ মেয়াদে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, ভূমি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ নিয়ে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার। আমরা পরিবেশের সুরক্ষা দিতে চাই। যারা এর বাইরে অন্য কিছু করবে তাদের ব্যাপারে সাংবাদিকরা সঠিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সেটাকে সরকার স্বাগত জানাবে। কারণ, এটি পরিবেশের ব্যাপারে সরকারের কেন্দ্রীয় অঙ্গীকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। সরকার শুধু উন্নয়নে বিশ্বাস করে না; বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যা পরিবেশগত সুরক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে।’

প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2