ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কারণ জানালেন রেলপথমন্ত্রী (ভিডিও)
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, এটা ভাড়া বাড়ানো নয়, দূরের যাত্রীদের জন্য আগে যে ছাড় দেয়া হতো তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার দাবি ভাড়া বাড়লেও তাতে কোন চাপে পড়বেন না যাত্রীরা।
উপমহাদেশে কম খরচে যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের চাহিদা ব্রিটিশ আমল থেকেই। দেশের ৪৪ জেলায় ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার লাইনে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
১৯৯২ সালে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের গন্তব্যের জন্য চালু করা হয় বিশেষ ছাড় বা রেয়াত সুবিধা। এমন বাস্তবতায় বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান দিচ্ছে রেলওয়ে।
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, জ্বালানিসহ রেলের যন্ত্রপাতির দাম বাড়ায় সরকারি এই পরিবহন খাতের লোকসানের পরিমাণ বাড়লেও ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছে না সরকার। তাই আগের বাড়তি সুবিধা তুলে নেয়া হচ্ছে।
আগের ছাড়া বা রেয়াত প্রত্যাহার করা হলে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের যাত্রীদের বর্তমান ভাড়ার চেয়ে দিতে হবে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া। ফলে নতুন হিসাব অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে শোভন শ্রেণির ভাড়া বাড়বে ৬০ টাকা। এসি স্নিগ্ধা আসনের জন্য ১২০ টাকা। আর এসি স্লিপিং-এ যেতে বাড়তি দিতে হবে ২১৫ টাকা।
ছাড় বা রেয়াত তুলে নিলে ভাড়া যতোটা বাড়বে, এতে যাত্রীদের ওপর তেমন কোনো চাপ পড়বে না বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী।
যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণে আগ্রহী ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছে রেল মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল সেবা ছড়িয়ে দিতে বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: