শ্রমিকের পাওনা না দিয়ে কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
পাওনা পরিশোধ না করেই হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে রাজধানীর একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান। এতে ওই কারখানার প্রায় ৪ শতাধিক শ্রমিক বনানীর এলাকার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। যদিও স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে প্রায় তিন ঘন্টা পর সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তবে তারা এখনো সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী কোনো কারখানা বন্ধ হলে এর আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নোটিশ দিয়ে তা জানাতে হয় শ্রমিকদের। কিন্তু রাজধানীর নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি এসবের কোনো তোয়াক্কা না করেই হঠাৎ বন্ধ করেছে কারখানা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। তবে এই বিষয়টি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতৃবৃন্দ দেখার কথা থাকলেও তাদের কোনো ভূমিকা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানার একজন শ্রমিক জানান, গত বৃহস্পতিবারও তারা কারখানা পোশাক তৈরিতে কাজ করেছেন। কিন্তু সাপ্তাহিক বন্ধ শেষ করে আজ (৪ মে) কাজে ফিরে তারা দেখেন গেইটে নোটিশ টাঙানো। কিন্তু তাদের দুই মাসের বেতন না দিয়েই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বাংলাভিশনকে বলেন, সকাল থেকে শ্রমিকরা পাওনা আদায়ের দাবিতে বনানীতে সড়ক অবরোধ করে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়েছি যে, এটা মালিকের সঙ্গে সমস্যা। সড়ক বন্ধ করলে সমাধান হবে না। বরং আমরা মালিককে খুঁজে পাওনা আদায়ের বিষয়ে কাজ করছি। এমন আশ্বাসে তারা সড়কের অবরোধ ছেড়েছে। কিন্তু তারা এখনো রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই তো চাইলেই একদিনে নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ করা যায় না। এর জন্য আইন আছে। সেভাবে করা উচিত ছিল। এটি দেখার দায়িত্ব বিজিএমইএ’র। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এখানে আসার কথা রয়েছে। কিন্তু কাউকে সেভাবে দেখছি না এখনো। তারা কারখানা মালিকের সঙ্গে বসে এটার সমাধান করার কথা। কিন্ত তাদের ভূমিকা সেইভাবে দেখা যাচ্ছে না।
তবে এই বিষয়ে বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- তারা আজ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছেন।
এদিকে, সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ধীরগতি দেখা দিয়েছে ওই এলাকার যানবাহনে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।
বিভি/এসএইচ
মন্তব্য করুন: