জ্বলছে সুন্দরবন, আগুন নেভাতে যুক্ত হলেন তিন বাহিনীর সদস্যরা
ছবি: আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা
সুন্দরবনে লাগা আগুন শনিবার রাতে ছড়িয়ে পড়েছে ৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকায়। ফায়ার সাভির্স, বনবিভাগ ও বন বিভাগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে এবার আগুন নেভাতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনী। রবিবার (৫ মে) সকালে বাংলাদেশ বিমার বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বনের আগুন জ্বলতে থাকা এলাকার উপর দিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।
শুরুতে নৌ বাহিনীর মোংলা ঘাটির কমান্ডার লেফটেনেন্ট আরাফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে।
ফায়ার সাভির্স ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাট এর উপ পরিচালক মামসুন আহম্মেদ জানান, জেলার ফায়ার সাভিস এর ৫টি ইউনিট সুন্দরবনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকায় নেওয়া হয়েছে। তবে ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। ২টি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে ভোলা নদী অনেক দুরে হওয়ায় পানি সংকটে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, কতোটুকু এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বনের মধ্যে শুকনো গাছ আর পাতা পড়ে থাকার কারণে আস্তে আস্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল কবির জানান, শনিবার(৪ মে) নানা প্রতিকুল অবস্থার কারণে আগুন নেভানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। রবিবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন বিভাগের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এর ফায়ার ফাইটার ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে।
তবে কতোটুকু এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেনি। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধানে পুর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দে কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, জিউধরা স্টেশন অফিসার ওবাদুর রহমান ও ধান সাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম।
শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহীন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর ২২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: