দেশের সকল মানুষকে পেনশনের আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, দেশের সকল মানুষকে পেনশনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করা হবে। পর্যায়ক্রমে মেলা জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও করা হবে। রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পেনশনের আওতায় চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পেনশন মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছে এবং রেজিস্ট্রেশন করছে। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ থেকে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ পেনশন স্কিমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং জোরদারকরণের লক্ষ্যে গতকাল রবিবার দিনব্যাপী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পেনশন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পেনশন স্কিমের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, অতি. ডিআইজি রশিদুল হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রমুখ। পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় পেনশন মেলায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ১২৫টি স্টল মেলায় অংশ নেয়। মেলার বুথে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে পেনশন স্কিম চালু করে। মেলা ও কর্মশালায় রংপুর বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তা, শিক্ষকরা অংশ নেন।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: