• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জুডিশিয়াল ক্যু’র ষড়যন্ত্র ফাঁস’: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে বানচাল

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১১ আগস্ট ২০২৪

ফন্ট সাইজ
জুডিশিয়াল ক্যু’র ষড়যন্ত্র ফাঁস’: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে বানচাল

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের কয়েকজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। আর এই পদত্যাগের পর বেরিয়ে এসেছে এক ষড়যন্ত্রের তথ্য। যে ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তবে এই ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

এর আগে গতকাল প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে শনিবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভের মুখে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। 

শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, এই প্রধান বিচারপতিকে সঙ্গে নিয়ে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছিল। জুডিশিয়াল ক্যু করার কথা ছিল। আর এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। এই জুডিশিয়াল ক্যুয়ের পরিকল্পনার তথ্য পেয়ে যান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা। তাদের দেওয়া তথ্য পেয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ। সেখানে পোস্টটি করেন সহসমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। ‘ষড়যন্ত্র ফাঁস’ শিরোনামে তিনি তার টাইমলাইনে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো—

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের নেপথ্যে কঠিন ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। শেখ হাসিনাকে এক্স প্রধান বিচারপতি সিনহা যেভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্র করেছিল ওবায়দুল হাসানসহ কয়েকজন।

যে রিপোর্ট এখনও মিডিয়া প্রকাশ করেনি তা নিম্নরূপ:

সজীব ওয়াজেদ জয় এতদিন আপনাদের সাথে ‘আমি নাই, মা নাই’ বলে বলে হঠাৎ গতকাল (শনিবার) রয়টার্সকে বলেছেন তার মা পদত্যাগ করেননি। এটি একটি পরিকল্পিত ঘোষণা ছিল যা বোঝা গেছে আজ।

সেনাবাহিনীর নিচের দিকের অফিসাররা যদি জনগণের পক্ষে না থাকত, তাহলে আজকে আরেকটা রক্তের বন্যা বয়ে যেত। আজকেও সেনাবাহিনীর ছোট অফিসাররা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে ছাত্র জনতাকে বাঁচিয়েছে।

আজকে একটা ক্যুয়ের প্ল্যান করেছিল জয় এবং আরাফাত। কিন্তু সঠিক সময়ে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা ছাত্রদের কাছে তথ্য ফাঁস করে দেয়। এই তথ্য জানার পরে জুডিশিয়াল ক্যু রুখে দেয় ছাত্ররা।

জয় আরাফাত আর তাদের গাইডদের গোপন প্ল্যান ছিল এইরকম। ড. মোহাম্মদ ইউনুস যখন রংপুরে আবু সাঈদের বাড়ি পরিদর্শন এবং কবর জিয়ারতের জন্য যাবেন এবং তারপর উনার হেলিকপ্টার যখন আকাশে থাকবে, ঠিক সেই সময়ে হাইকোর্টের অ্যাপিলিয়েড ডিভিশনের বিচারপতিরা ফুল কোর্ট বসিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করবেন।

সাথে সাথে এই ক্যুয়ের সাথে জড়িত সেনাবাহিনীর ২৫ কর্মকর্তা, চাকরি থেকে কর্মবিরতিতে থাকা দুর্নীতিবাজ পুলিশের একটি দল রাজধানীতে হট্টগোল শুরু করবে আর শেখ হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসবেন এবং সাথে সাথে আওয়ামী লীগের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা মাঠে চলে আসবেন।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনো আলোচনা না করে হঠাৎ ৫৭ বিচারপতিকে জরুরি মিটিংয়ে ডাকেন। স্ক্রলে জরুরি মিটিং ডাকার সংবাদ দেখে দর্শকরাও কনফিউজড হন। কিন্তু আগে থেকে গোপন খবর পাওয়া ছাত্র জনতা সকাল ৯টার আগেই চতুর্দিক থেকে ছুটে এসে হাইকোর্ট ঘেরাও করে। সেনাবাহিনীর সমর্থনে প্রধান বিচারপতি পিছু হটতে বাধ্য হন এবং পালিয়ে থাকেন। মিটিং স্থগিত হয়। ছাত্ররা বিচারপতির বাসা ঘেরাও করে রাখে। সেনাবাহিনী শৃংখলা রক্ষার আবরণে সেখানে ছিল। পদত্যাগপত্র সরকারকে দেওয়া হয়েছে নিশ্চিত হয়ে ছাত্ররা হাইকোর্ট এবং বাসভবন ত্যাগ করে।

এই ঘটনার সাথে জড়িত আপিল বিভাগের আরও পাঁচজন বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করার পর ৫ বিচারপতিও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী ৫ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: