• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে স্নাতক ডিগ্রি লাগবে

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
চেয়ারম্যান-মেয়র হতে স্নাতক ডিগ্রি লাগবে

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য এবার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। পৌরসভা-সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারবেন না নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা। ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি লাগবে এসব পদে নির্বাচিত হতে।

এ ছাড়া থাকবে না সরাসরি ভোটের বিধানও। তবে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচনে। সরকারি চাকরিজীবীরা কাউন্সিলর-সদস্য হতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ— দল-পেশিশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে।

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, যাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে সভাধ্যক্ষকেও। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচন হবে একইভাবে।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে। স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বা কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা (এমপি)। সভায় উপস্থিত হয়ে শুধু মতামত দিতে পারবেন।

কমিশন ৫০ হাজারের চেয়ে কম জনসংখ্যার পৌরসভাকে বাতিলের সুপারিশ করবে। এসব পৌরসভার বেশির ভাগ অতীতে দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য করা হয়েছে। এ ধরনের পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকে। এ ধরনের প্রায় শ’খানেক পৌরসভাকে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার সুপারিশ করবে কমিশন।

কমিশনপ্রধান ড. তোফায়েল জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনের ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। একসঙ্গে এসব নির্বাচন করলে খরচ হতো ৬০০ কোটি টাকা। এ জন্য প্রস্তাবে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করার সুপারিশ থাকবে। দলীয় প্রতীকে হবে না আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2