‘কার্গো পরিবহনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে, বিমানবন্দর হবে যাত্রীবান্ধব’

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো: মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেছেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ায় আমাদের জন্য কার্গো পরিবহনের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসে এক্ষেত্রে আমাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কোনো বিকল্প নাই। আমাদের প্রতিটি বিমানবন্দর হবে যাত্রীবান্ধব। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট অপারেশন চালুর সম্ভাবনা সামনে রেখে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, ভারত বাংলাদেশের বিদ্যমান ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ ঘোষণা করায় চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট অপারেশন এর যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাকে পরিপূর্ণ ও সফলভাবে কাজে লাগাতে বেবিচক চেয়ারম্যান সরেজমিনে বিমানবন্দরের কার্গো টারমিনাল ও কার্গো ওয়ারহাউস পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি আসন্ন কার্গো ফ্লাইট অপারেশন সংক্রান্ত পূর্ব প্রস্তুতির অগ্রগতি, স্বতন্ত্র কার্গো ফ্লাইট অপারেশন হ্যান্ডলিং মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি কার্গো একসেপ্টেন্স এরিয়া সম্প্রসারণ,একসেপ্টেন্স এরিয়ার জন্য নতুন প্রয়োজনীয় শেড নির্মাণ, একসেপ্টেন্স এরিয়ায় নতুন ওয়েয়িং মেশিন স্থাপন, অচল কোল্ড স্টোরেজ মেরামত, নতুন দুইটি ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, প্রয়োজনীয় Walk Throw Metal Detector ক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ও বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর মহোদয় কে এব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে ইউরোপ এ সম্ভাব্য কার্গো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় RA-3 Zone তৈরীর লক্ষ্যে জরুরি EDS Machine ক্রয়, RA-3 Zone তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় স্থান নির্ধারণ সহ অন্যান্য সিভিল, ই/এম ও সিএনএস ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করতে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় সিএএবি এর প্রধান প্রকৌশলী মো: জাকারিয়া হোসেন,গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর কার্গো প্রতিনিধি, সিএন্ডএফ এজেন্ট,বিমানবন্দর কাস্টমস প্রতিনিধি ও সিএএবি এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: