এবার সিলেট সীমান্ত এলাকায় কারফিউ জারি করলো ভারত

সিলেটে ভারতীয় সীমান্তের ফাইল ছবি।
সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের জৈন্তিয়া হিলস এলাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে ভারতীয় জেলা প্রশাসন। শুক্রবার পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, চোরাকারবারী এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু পূর্ব জৈন্তিয়া জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী অঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে বেড়া দেয়া নেই, তাই অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেশি। সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি আন্তর্জাতিক এই সীমান্তে জড়ো হয়ে কার্যকলাপ চালাতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই সময়ে সীমানা অতিক্রম, পাঁচ জন বা এর বেশী মানুষ একসাথে চলাচল ও অননুমোদিত সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার খাসিয়া হাওর এলাকার ১২৭৮-১২৭৯ পিলারের মধ্যে যৌথ জরিপকে কেন্দ্র করে ভারতীয় বিএসএফ'র সাথে বাংলাদেশের বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উপজেলার নলজুরির আমস্বপ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ জরিপ বিভাগ, ঢাকা ও সিলেটের ম্যাজিস্ট্রেট ও সার্ভেয়ার এবং বিজিবি সদস্যরা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার মাঠে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জরিপ কাজে যান৷ নির্ধারিত সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সার্ভে দল ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণে কাজ শুরু করে। সার্ভে কাজে সহযোগিতা করছিলেন দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী—বাংলাদেশের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফ।
তবে সার্ভে চলাকালে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসিয়া হাওর এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান। খবর পেয়ে বাংলাদেশি সাধারণ জনতা ভিড় করে। একপর্যায়ে বাংলাদেশি জনতা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে জরিপ করতে বিএসএফকে বাঁধা দেয়। বিজিবিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিএসএফকে বাঁধা দেয়। সাধারণ জনতা ও বিজিবির বাঁধার মুখে বিএসএফ পিছু হটে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: