পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুলি ছুড়ছে পুলিশ। ফাইল ছবি
এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পুনর্গঠন করা হবে। আর পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘র্যাব পুনর্গঠন করা হবে। র্যাব পুনর্গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। তবে তাদের অবৈধ দাবি বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতি হাটে ১০০ আনসার সদস্য রাখতে হবে। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে যেতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যেন চাঁদাবাজি না হয়।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রতিবেদনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে সরকার এই এলিট বাহিনীকে ‘নতুন করে গঠনের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওএইচসিএইচআর।
সেখানে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) কেবল সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়।
প্রতিবেদনে র্যাব সম্পর্কে বলা হয়, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে বিলুপ্ত করুন এবং গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দিন।’
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে ওএইচসিএইচআরের ওই সুপারিশকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এটা ওয়েলকাম করা হয়েছে। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। তারপরে আমরা বসে একটা ডিসিশন নিব।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: