ছুটি শেষে দীর্ঘ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সচিবালয়ের কর্মচারীদের

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবি না মানলে ঈদের ছুটি শেষে অফিস চালুর পর দীর্ঘ কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন তারা।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে– এমন বিধান রেখে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর ২৫ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
জানা গেছে, দাবি না মানলে ঈদের ছুটি শেষে অফিস চালুর পর দীর্ঘ কর্মবিরতিতে যাবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এ কর্মসূচিতে দেশের অন্য সব সরকারি অফিসের কর্মচারীদেরও সম্পৃক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের দাবি না মানা হলে অফিস চালুর পর বড় পরিসরে আন্দোলনে যাব। বড় ধরনের কর্মবিরতি পালন করব এবং সেই কর্মসূচিতে সারাদেশের সব অফিসের কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটির পর অফিস খোলা হলে আমরা সবাই আবার বসব। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: