ইয়ামিন হত্যার এক বছর পেরোলেও চোখের পানি শুকায়নি বাবা-মায়ের

ছবি: সংগৃহীত
চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে সাভারে পুলিশের এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের নিথর দেহ ফেলে দেওয়ার দৃশ্য কাঁদিয়েছে কোটি মানুষকে। একজন শিক্ষার্থীকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যার এই দৃশ্য নির্মম, নিষ্ঠুর ও অমানবিকতার। বছর পেরিয়ে গেলেও ছেলে হারানোর এই শোক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না বাবা মহিউদ্দিন। প্রতিদিন একমাত্র ছেলের কবরের পাশে গিয়ে মোনাজাত আর কান্নায় কাটছে তার জীবন। তবে জুলাই আন্দোলনের বছর পেরুলেও বিচারের ধীর গতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সন্তান হারানো এই পিতা।
মহাসড়কের ওপর পুলিশের এপিসি কার থেকে ফেলা দেওয়া হচ্ছে নিথর এক তরুণকে। গাড়ি থেকে সড়কে পড়তেই দুই হাত দুই দিকে আর পা দু’টি ভাজ হয়ে যায় তার। একটি পা আটকে যায় এপিসির চাকার সঙ্গে। তখনও প্রাণ ছিলো শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনের। পুলিশের হেঁচকা টানে ফেলে দেওয়া হয় সড়কের মাঝখানে। যেন মানুষ নয়, কোনো বস্তু ছুঁড়ে ফেলা হলো।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে পুলিশের গুলিতে এমআইএসটির কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী ইয়ামিনের এমন মৃত্যু যেন স্তব্ধ করে দেয় বিশ্ব বিবেক। ইয়ামিন হত্যার এক বছর পেরোলেও চোখের পানি শুকায়নি তার বাবা-মায়ের।
দাফনের ইচ্ছে ছিলো গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কিন্তু পুলিশ আর আওয়ামী লীগের হুমকি এড়িয়ে ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ রাতের অন্ধকারেই দাফন করতে হয়েছে সাভারে। সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা মনে করে আজও আতকে ওঠেন ইয়ামিনের পিতা মহিউদ্দিন।
এখনো সময় পেলেই ছুটে যান সন্তানের কবরের পাশে। যে বাংলাদেশের জন্য অকাতরে নিজের একমাত্র ছেলে ইয়ামিনকে বিসর্জন দিয়েছিলেন তার মা-বাবা, সেই কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন দেশ গড়ার পথে কতোটা হাঁটছে বাংলাদেশ? প্রশ্ন সন্তানহারা এই পিতার।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: