আশিয়ান সিটির প্লট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ রাজউকের

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার আলোকে অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ‘আশিয়ান সিটি’ প্রকল্পের সব ধরনের বিজ্ঞাপন, বিক্রয় ও প্রচার কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
গত ৮ আগস্ট রাজউকের নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখার উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ-১ মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র রাজউকের কাছে জমা দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
রাজউকের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা জেলার দক্ষিণখান মৌজায় গড়ে ওঠা আশিয়ান সিটি প্রকল্প এখনো অনুমোদন পায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত মাত্র ৩৩ একর জমিতে আবাসিক উন্নয়নের অনুমতি দিলেও প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও অনলাইনের মাধ্যমে প্লট বিক্রি করছে, যা আইনত সম্পূর্ণ অবৈধ।
২০০৪ সালের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা (সংশোধিত ২০১১ ও ২০১৫) এবং ২০১০ সালের রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া কোনো জমি বিক্রি, হস্তান্তর বা বিজ্ঞাপন প্রচার করলে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
রাজউক জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা না দিলে প্রকল্পের সব বিজ্ঞাপন, বিক্রয় কার্যক্রম ও সাইনবোর্ড জোরপূর্বক সরিয়ে ফেলা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকল্পের অনুমোদন পেতে হলে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০; রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন আইন, ২০১০ এবং ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত) এর সব শর্ত পূরণ করতে হবে। এর আগে কোনো উন্নয়ন বা বিক্রয় কার্যক্রম চালানো যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে আশিয়ান সিটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো।
তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আবার জমি দখল ও বিক্রির চেষ্টা শুরু করে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে রাজউক এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: