সঞ্চয়পত্র জালিয়াতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে, শঙ্কা সাইবার বিশেষজ্ঞদের
সঞ্চয়পত্রের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের যোগসাজস থাকতে পারে; এমন ধারণা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাই, সঞ্চয়পত্র সার্ভারের সাথে যুক্ত কাউকেই সন্দেহের বাইরে না রাখার পরামর্শ তাদের। সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বচ্ছ ধারণা না দিলে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়বে, আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সিস্টেম জালিয়াতি করে গত ২৩ অক্টোবর সঞ্চয়পত্রের ২৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে একটি চক্র। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে কেনা সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ধরা পড়েছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় ৪ আসামির অন্যতম আরিফুর রহমানকে।
তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জালিয়াতির ঘটনা হ্যাকিং নাকি পেছনে ভিন্ন কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ কর্মীদের যোগসাজস ছাড়া সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রায় অসম্ভব।
সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসে বিভিন্ন গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রে জমার পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা। তাই, গ্রাহকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
সঞ্চয়পত্রে জালিয়াতির ঘটনা বন্ধে সার্ভার মনিটরিং সিস্টেম জোরদার করার তাগিদ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: