‘প্রাইমিনিস্টার ইন ওয়েটিং’ এর জন্য প্রটোকলের চেয়ে প্রটেকশনই জরুরি
ছবি: রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী
হোয়াইট হাউস, জাতিসংঘ ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সংবাদদাতা এবং বর্তমানে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রাইম মিনিস্টার ইন ওয়েটিং’, এই পরিচয়ে তারেক রহমান এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে গভীর আবেগ, অনুভূতি এবং একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কনসিকোয়েন্স। এই বাস্তবতা অনুধাবনের জন্য বিএনপির নেতা হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
শনিবার (ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে তারেক রহমানকে আগলে রাখবে উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, ‘একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেই বিষয়টি দেখা যায়। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয় গভীরভাবে আমলে নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। যদিও পোড় খাওয়া দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মানববর্ম রচনা করে তাকে আগলে রাখবেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবুও এই সময়ে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য প্রটোকলের চেয়ে প্রটেকশনই বেশি জরুরি। আমার যতোটুকু জানা, তারেক রহমান একজন সাধারণ ও সহজ চলাফেরায় অভ্যস্ত মানুষ। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার ব্যক্তিগত স্বভাবের চেয়ে বাস্তবতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীদেরও গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। এখন কাছে ভিড় করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করার চেয়ে দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করাটাই হবে সবচেয়ে বড় সহায়তা। প্রয়োজন অনুসারে তিনি নিজেই কাছে ডেকে নেন, এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। তাই অপ্রয়োজনীয় ভিড় বা হঠাৎ করে সামনে চলে আসার প্রবণতা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।’
মিডিয়ার প্রবণতা প্রসঙ্গে মুশফিকুল ফজল আনসারী লেখেন, ‘মজলুম এই নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে মিডিয়ার আগ্রহ থাকা একেবারেই স্বাভাবিক। ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, তার আগমনকে কেন্দ্র করে কনটেন্ট ভিউ ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। এটি তার রাজনৈতিক গুরুত্ব, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, জনআগ্রহ এবং গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তবে দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার কারণে তারেক রহমানের কিছু ব্যক্তিগত কর্মসূচি থাকাটাও খুব স্বাভাবিক এবং সেগুলো ব্যক্তিগত থাকাই উচিত। এখানেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। দলীয় কর্মসূচির বাইরে ব্যক্তিগত সময় বা কর্মকাণ্ড নিয়ে লাইভ সম্প্রচার, সংবাদ সংগ্রহের নামে অনুসরণ এবং অপ্রয়োজনীয় প্রচার পরিহার করা উচিত। এগুলো আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনা।’
বিভি/এআই




মন্তব্য করুন: