• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

ভোটের রাজনীতিতে হার না মানা এক আইভী’র গল্প

প্রকাশিত: ২০:৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২১:২৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
ভোটের রাজনীতিতে হার না মানা এক আইভী’র গল্প

নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে সদ্য বিজয়ী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

একসময় তাঁর বাবা ছিলেন পৌরসভা মেয়র। পেশায় ডাক্তার হলেও পাশাপাশি চলছিলো রাজনীতিও। পৌরসভা মেয়র হয়ে বসেছেন বাবার চেয়ারেও। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হওয়ার পর হয়েছেন দেশের প্রথম নারী সিটি করপোরেশন মেয়র। এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি। 

বলছিলাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে সদ্য বিজয়ী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী’র কথা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন সহজ ছিলো না। নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের সংগে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। তারপরও ভোটের রাজনীতিতে হার না মানা আইভী।   

একনজরে সেলিনা হায়াৎ আইভী

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আইভী। বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা এবং মা মমতাজ বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় তিনি। আইভী’র বাবা চুনকা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।  

আরও পড়ুন:
ফের কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত ‘করোনা হিরো’ খোরশেদ

মেয়র পদে আইভী’র হ্যাটট্রিক
আইভী দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৮৫ সালে রাশিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। 

চাকরি জীবন
১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

রাজনৈতিক জীবন
আইভী শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় পিতার সংগে রাজনীতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং তাতে জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে মেয়র পদে জয়লাভ করেন আইভী। ২৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেন। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো সিটি মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন
আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী’র কাজী আহসান হায়াৎ-এর সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।

সম্মাননা
রাজনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননায় ভূষিত হন।

বিভি/এইচকে/এসডি

মন্তব্য করুন: