• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪

রাজধানীতে চুরি ছিনতাই ডাকাতি বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১১ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
রাজধানীতে চুরি ছিনতাই ডাকাতি বেড়েছে

রাজধানীতে প্রতিদিনই ছিনতাই, চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এমনকি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুনও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বলছে, ঈদ সামনে রেখে ছিনতাইকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

গত শনিবার ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রমজান ও আসন্ন ঈদের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদ ও রমজানকে ঘিরে প্রতিবছরই ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বাড়ে। ছিঁচকে চোর-ছিনতাইকারীরা রাস্তায় পথচারী ও যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকা থেকে ৮৪৪টি ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সেবা চেয়েছেন। এ হিসাবে দেখা যায়, রাজধানীতে মাসে ২৮১টি এবং দিনে ৯টি ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৮৪৪টি ঘটনার মধ্যে ছিনতাই হয়েছে ২০৭টি এবং চুরি-ডাকাতি ৬৩৭টি। এর মধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানুয়ারিতে ৭২টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৩টি ও মার্চে ৬২টি। চুরি-ডাকাতি জানুয়ারিতে ২২০টি, ফেব্রুয়ারিতে ২২১টি ও মার্চে ১৯৬টি। এসব ঘটনা বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতি বেশি ঘটেছে মোহাম্মদপুর থানায়- তিন মাসে ৭২টি। এর মধ্যে ছিনতাই ২৩টি, চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ৪৯টি। এরপরই ঘটছে পল্লবী থানা এলাকায়। তিন মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ১৪টি এবং চুরি-ডাকাতি ৩৩টি।

৯৯৯-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কলারের ফোন পাওয়ামাত্রই তারা সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে জানান। একই সঙ্গে সেই ঘটনার সর্বশেষ পর্যন্ত খোঁজখবর রাখেন। যে-সংক্রান্ত কল তারা পান, সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে অপরাধের ধরন অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করে রাখেন।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, কলারের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর কল গ্রহণকারী কলারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তার অভিযোগ সম্পর্কে সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আরেক টিম সংশ্নিষ্ট থানা থেকে ভুক্তভোগীর কাছে যে পুলিশ কর্মকর্তা যান, তার কাছে ঘটনার হালনাগাদ জানতে যোগাযোগ করতে থাকেন। সেবাগ্রহীতার কাছে পুলিশ পৌঁছিয়েছে কিনা এবং পুলিশি সহায়তা বা পরামর্শ পেয়েছেন কিনা- সে তথ্যও কলারের কাছ থেকে নেওয়া হয়।

গত দুই মাসে রাজধানীতে ছিনতাইকারীর হাতে পৃথক দুটি হত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। দুটির মধ্যে একটি ঘটে গত ২৭ মার্চ, মিরপুরের কাজীপাড়ায়। এদিন ভোরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে সায়েদাবাদ ব্রিজের ঢালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান মোশারফ হোসেন নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। 

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: