• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

এবারের ঈদে ঢাকা ছাড়বে ১ কোটি মানুষ

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৭ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৩:৩২, ১৭ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
এবারের ঈদে ঢাকা ছাড়বে ১ কোটি মানুষ

পুরোনো ছবি

করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণের কারণে গেল দুই বছরের ঈদযাত্রা ছিল বিধিনিষেধে আবদ্ধ। ফলে অনেকেই গত দুই বছর গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে পারেননি অনেকে। এবার কেটেছে করোনার প্রকোপ। নেই কোনো বিধিনিষেধ। তার মধ্যে এবার ছুটিও বেশি। তাই এবারের ঈদে বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

ঈদযাত্রায় দ্বিগুর যাত্রীর বাড়তি চাপ সামলাতে অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

রবিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা’ বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটির বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এছাড়াও এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করতে পারে। এতে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিববহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সতর্কতা, সকল পথের প্রতিটি যানবাহনের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করা।

কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় দাবি করে ঈদযাত্রায় সড়কে চাঁদাবাজি ও যানজটমুক্ত করার দাবি জানান মোজাম্মেল হক চৌধুরী। 

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে। আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত দুপুরের পর থেকে গভীর রাত অবধি রাজধানী অচল হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর সকল পথের ফুটপাত, রাস্তা হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করতে হবে।

অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকট, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে কিছু কিছু পরিবহন মালিক-চালকেরা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ কর যাত্রী কল্যাণ সমিতির এই নেতা বলেন, ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণে এবারের সকল পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হবে।

অনলাইনে রেলের টিকিট প্রদানের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় যাত্রীর টিকিট কাউন্টার থেকে কালোবাজারিদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের আসন্ন ঈদে আগে ও পরে ১০ দিনের বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে এবারের ঈদে যাত্রী সাধারণকে এসব ফ্লাইটে টিকিট কয়েকগুণ বাড়তি দামে কিনতে হবে। 

অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে সড়ক ও নৌ পথে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, নৌ পথে পর্যাপ্ত বয়া-বাতি ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম না থাকা, একজন চালককে বিশ্রামহীনভাবে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিরামহীনভাবে যানবাহন চালাতে বাধ্য করার কারণে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনার সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে।

এবারের ঈদে কালবৈশাখীর শঙ্কা থাকায় নৌপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই আনফিট নৌযান বন্ধসহ ফিটনেসধারী নৌযানে যাতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান তিনি। 

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন: