• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

কেনাকাটা না করেই প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, দুদকের মামলা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দুর্নীতি

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ২৩ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
কেনাকাটা না করেই প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, দুদকের মামলা

ছবি: সংগৃহীত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস/ হর্টিকালচার সেন্টার-এর ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইং-এর আওতায় ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কোনো অর্থ ব্যয় না করেই বা কেনাটাকা না করেই প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ মে) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের কারেন।

একটি মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম (৬২), প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবুল হাশিম (৬১), চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট হর্টিকালচার সেন্টার-এর সাবেক নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক (বর্তমান: অবসর) কাজী নুরুল আবছার, ওই সেন্টারের উচ্চমান সহকারী (বর্তমান উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম) মো. আব্দুল হালিম ওরফে মোহাম্মদ আবদুল হালিম (৪৩), মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (৪২) (উপজেলা কৃষি অফিসার, টেকনাফ, কক্সবাজার) ও ফিরোজ খাঁন (ক্যাশিয়ার, উপজেলা কৃষি অফিস, টেকনাফ, কক্সবাজার, বর্তমানে উপপরিচালকের কার্যালয়, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম) মাঠ পর্যায়ের উপজেলা কৃষি অফিস/হর্টিকালচার সেন্টার হতে অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র ব্যতিরেকে, অনুমোদন সংশ্লিষ্ট নথিতে উপস্থাপন না করে এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে সৈয়দ শরীফুল ইসলাম কর্তৃক অপর আসামীদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে জাল জালিয়াতি - প্রতারণা, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস/ হর্টিকালচার সেন্টার এ সর্বমোট ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকার বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। অত:পর আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোড সমূহের আওতায় ব্যয় দেখিয়ে (প্রকৃতপক্ষে ব্যয় না করে / ক্রয় না করা সত্ত্বেও তাদের কর্তৃক অর্থ পরিশোধ দেখিয়ে/স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে) উক্ত বিল পাস করত: অর্থ আত্মসাত করত:/আত্মসাতে সহযোগিতা করে/বরাদ্দ পরবর্তীতে বরাদ্দ পত্রসহ আনুষাঙ্গিক সমুদয় রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ অপরাধ করায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আরেকটি মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম (৬২), 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইং-এর স্টোর কিপার মো. অলিউল্লা প্রধান, 

দপ্তরটির প্রশাসন ও অর্থ উইং (হিসাব শাখা)-এর সিনিয়র হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নাফিসা সরকার (৪৮), 

প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আয়ন ও ব্যয়ন) মো. আবুল হাসেম ও প্রশাসন ও অর্থ উইং-এর ক্যাশিয়ার মো. জাহিদ হাসান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইং-এর আওতায় ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা সর্বমোট ৫৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে/প্রস্তুত করে বর্নিত কম্পিউটার সামগ্রী/সরঞ্জাম/যন্ত্রাংশ ক্রয় না করা সত্ত্বেও স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে/ বিল পরিশোধ দেখিয়ে (প্রকৃত পক্ষে পরিশোধ না করে) বর্ণিত অর্থ আত্মসাত করে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: