• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বন্যার্তদের ঈদে শামিল করতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ১০০ গরু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা

শুভ ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৩০ জুন ২০২২

আপডেট: ১২:০৩, ১ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
বন্যার্তদের ঈদে শামিল করতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ১০০ গরু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি দেশের ১২ জেলার ৭০টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের, রোগাক্রান্ত ৮ হাজারের বেশি।

নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে দিশেহারা বন্যাকবলিত মানুষ। কৃষি জমি, গবাদি পশু, বিভিন্ন ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। বানভাসী এসব জেলার মানুষ একমুঠো খাবারের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছে। পরিবার-পরিজন অনেকে মারা গেলেও শুকনা জায়গার অভাবে মাটি না দিয়ে বানের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।

বানভাসী এসব মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে রাফসান দ্য ছোট ভাই, তৌহিদ আফ্রিদি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, ফারাজ করিম চৌধুরীসহ সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন, স্যোসাল মিডিয়া ইনফ্লেুয়েন্সার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে সবারই জানা।

তবে এবারের বন্যায় বন্যার্তদের মাঝে সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করে আলোচনায় এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বন্যার শুরু থেকে এই ফাউন্ডেশনের প্রায় চারশ স্বেচ্চাসেবীকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা গেছে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়ায় আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বন্যার্তদের মাঝে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। চাল, চিড়া, ডাল, তেল, মসলা, লবণ, ছাতু, চিনি, খেজুর, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, সিলেটের সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।’

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসন্ন কোরবানি ঈদে বন্যার্তদের মাঝে ১০০টি গরু জবাই করে মাংস বিতরণ করা হবে। এছাড়া ২৫ কেজি ওজনের আঠার হাজার তিনশো বিশ বস্তা চাল বিতরণ করা হবে। ’

বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ফাউন্ডেশনের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। গৃহ নির্মাণ, নগদ টাকা, কৃষিজ পণ্যসহ সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ফাউন্ডেশনটি। চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ঈদের পর কীভাবে পূনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা ঠিক করতে স্থানীয় ডিসি, এসপি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহীনির সঙ্গে আলোচনা চলছে। সবার পরামর্শক্রমে ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হবে।’ 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংগঠনটি জড়িত। দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি স্বাবলম্বীকরন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে সংগঠনটির। 
স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৩শ মানুষকে সহায়তা করেছে ফাউন্ডেশনটি। চলতি বছর ৫০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা, ১শ মহিলাকে ব্লক, বাটিক প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থানে সহায়তার জন্য প্রত্যেককে ৮ হাজার করে নগদ টাকা এবং বিভিন্ন জেলায় ১৩শ মানুষকে যাকাতের টাকার মাধ্যমে সহায়তা করা হয়েছে। 
ভবিষ্যতে মানবতার সেবায় এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান দায়িত্বশীলরা।

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: