• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

লঞ্চে যাত্রী বৃদ্ধির ৩ কারণ উন্মোচন

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
লঞ্চে যাত্রী বৃদ্ধির ৩ কারণ উন্মোচন

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এমনকি কেউ কেউ ধারণা করেছিলেন পদ্মা সেতু চালুর পর বিরূপ প্রভাব পড়বে নৌপথে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন নৌপথে যাত্রী বাড়বে। সেই সঙ্গে যাত্রী বৃদ্ধির ৩টি কারণ বের করেছেন তারা।

তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পরও নৌপথে আগের মতোই লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতে নৌপথে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে লঞ্চও। ফলে নৌপথে লঞ্চ ব্যবসায় ভাটা পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। হঠাৎ করে এই মধ্যে আগামী এক বছরে পাঁচটি নতুন লঞ্চ নামানোর উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। লঞ্চগুলো বর্তমানে নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের পরও নৌপথে যাত্রী বাড়বে বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের মতে, প্রথমত নৌপথে ভাড়া কম। দ্বিতীয়ত লঞ্চে যাতায়াতে কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় না এবং যাত্রীরা ক্লান্তি বোধ করে না। তৃতীয়ত বর্তমানে বিলাসবহুল যেসব লঞ্চ তৈরি হচ্ছে, যাত্রীরা বাসের চেয়ে এসব লঞ্চে ভ্রমণে বেশি আগ্রহী।

আবার লঞ্চে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পাশাপাশি রয়েছে লিফট এবং হাসপাতাল। বিলাসবহুল লঞ্চে যুক্ত হয়েছে ইকো-সাউন্ড প্রযুক্তি। এতে পানির গভীরতা বোঝা যায়। ফলে লঞ্চ চরে আটকে পড়ার ঝুঁকি কমেছে।

লঞ্চ এ ব্যবসার উদ্যোক্তারা জানান, ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলে। বড় লঞ্চগুলো চলে ঢাকা-বরিশাল রুটে। এ রুটে ১৯৯০ সালের দিকে অ্যাটলাস সন, রাজহংস, দ্বীপরাজ এসব ছোট ছোট লঞ্চ চলত। এরপর সাগর নামে একটি বড় লঞ্চ এ পথে প্রথম চলাচল শুরু করে। এক দশক আগেও একটি লঞ্চ তৈরিতে ব্যয় হতো ছয় থেকে সাত কোটি টাকা। বর্তমানে লঞ্চের আকার যেমন বেড়েছে, বেড়েছে বিনিয়োগও। বর্তমানের বিলাসবহুল ও আধুনিক প্রযুক্তির বড় লঞ্চের যাত্রা শুরু ২০০০ সাল থেকে।

উদ্যোক্তারা জানান, নতুন করে নৌপথে লঞ্চ নামাচ্ছে পারাবত, কীর্তনখোলা, সুন্দরবন, সুরভি, এম খান, আগরপুর নেভিগেশনসহ কয়েকটি কম্পানি। বরিশাল শহরের চরআবদানী এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর তীরে সুন্দরবন ডকইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে নতুন লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১৬ ও সুন্দরবন-১৪।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: