• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন

ভোট বন্ধের কারণ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি সিইসি

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ১২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৯:২১, ১২ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ভোট বন্ধের কারণ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি সিইসি

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করলেও তা কাদের কারণে বন্ধ তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

 বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন।

অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগে ভোট বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার সময় ব্রিফিংয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তিনি এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা নিজ চোখে ভোটকেন্দ্রে আইন লঙ্ঘন হতে দেখেছেন। তবে এ ‘আইন লঙ্ঘন’ করে অনিয়ম ও জালিয়াতিতে কারা জড়িত, কাদের কারণে আজকের এ ভোট বন্ধ করতে হয়েছে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমের বিষয় নয়, এটি হিউম্যান এলিমেন্ট। এখানে আমরা যান্ত্রিক বা মেকানিক্যাল কোনো সমস্যা দেখিনি। ভোটকেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার ও অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।

এরআগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিতে দেখেছি। তাই উপনির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। 

সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি। ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। এ সময় সিইসিকে অনেকটা অসহায় মনে হয়েছে। 

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে। কেনো হচ্ছে, এখন তা চটজলদি বলতে পারবো না।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমের মাধ্যমে। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।

এ আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: