• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ১৩ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৯:৩৭, ১৩ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি অডিটোরিয়ামে ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনও আমাদের ডাল আমদানি করতে হয়, তেলজাতীয় ফসল আমদানি করতে হয়। আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় করছি, এটি সাধারণ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। আমাদের চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ দেশে আবাদ হচ্ছে। আমরা দেশেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করতে চাই। আমাদের বিজ্ঞানীরা যে নতুন প্রযুক্তি এনেছেন, এসব ব্যবহার করতে পারলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন  করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে এই খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখতে হবে। সেজন্য ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আমরা কাজ করছি। শুধু ধান নয়, অন্য ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। আমরা দানাজাতীয় শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ, পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া মানে শুধু পেট ভরানো নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা। সেলক্ষ্যেই আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অল্প জমিতে সব আবাদ করতে গিয়ে ধানের জমি কমে যাচ্ছে। সবকিছু আবাদ করতে গিয়ে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে অল্প জমিতে আবাদ সরকারের জন্য, আমাদের জন্য জাতি হিসেবে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর কোনো দেশে এই চ্যালেঞ্জ নেই। আমাদের দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ২০০ মানুষ, যেখানে রাশিয়ায় কিলোমিটারে সাত জন, অস্ট্রেলিয়ার তিন জন ও কানাডায় তিনজন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারণে চালের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়লে চালের ওপর চাপ বাড়ে। প্রতিবছর নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে ২০ লাখ। ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকেও আমাদের খাওয়াতে হচ্ছে। সবমিলে অর্থনীতিতে একটা বিরাট চাপ। আমাদের নিম্নআয়ের মানুষ তাদের খাবার নিয়ে অনেক কষ্ট আছে। তবে এই মুহূর্তে খাদ্য নিয়ে কোনো সংকট নেই, হাহাকার নেই। এক সময় দেশে এই সময়ে মঙ্গা হতো, আমরা গত ১৩ বছরে একটি মানুষ না খেয়ে আছে এমন খবর শুনিনি। মঙ্গাকে আমরা চিরতর দূর করেছি।’

বিভি/এইচকে/এনএ

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: