• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শতাধিক স্থানীয় সরকারের ভোট পর্যবেক্ষণে মনিটরিং সেল গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২০:২১, ১ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
শতাধিক স্থানীয় সরকারের ভোট পর্যবেক্ষণে মনিটরিং সেল গঠন

আগামীকাল বুধবার (২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপেজলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের শতাধিক নির্বাচনের উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সেল ভোটের দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইসিকে অবহিত করবে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের (কক্ষ নং-৪১৭) ৪র্থ তলা থেকে এই সেল পরিচালিত হবে। 

ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, সেল গঠনের চিঠি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

 

মনিটরিং সেলে যারা আছেন:

ইসির আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদেরকে (এনডিসি, পিএসসি) প্রধান করে গঠিত সেলে অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/ র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)/আনসার ও ভিডিপির উপপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।

মনিটরিং সেলের কার্য পরিধির মধ্যে রয়েছে:
নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগতকরণ, সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইন-শৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ, ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন, ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনি মালামাল পরিবহণ, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান এবং সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতকরণ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- সেল যেন কার্যকর হয় এবং কমিশনকে যেন সময়ে সময়ে পরিস্থিতি অবহিত করা হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

 বুধবার যে চার পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন- চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ফটিকছড়ি, জামালপুরের হাজরাবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পার্বতীপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ পৌরসভা।

তিন উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন-চট্টগ্রামের কর্ণফুলি, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও সিলেটের ওসমানীনগর। এছাড়া নেত্রকোণা সদর উপজেলা, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চিলমারী এবং কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণও করবে সংস্থাটি।

১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে ২ নভেম্বর। ইউপিগুলো হলো- জয়পুরহাটের ক্ষতলাল উপজেলার বড়তারা ও তুলসীগঙ্গা, কুষ্টিয়া সদরের জিয়ারথী ও কাঞ্চনপুর, মিরপুরের চিথলিয়া ও ধুবইল, জামালপুর উপজেলার মেলান্দহের আদ্রা ও ফুলকোচা, ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া, মাহমুদপুর ও সুতারপাড়া, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ও পাঁচগ্রাম, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং, গোয়াইনঘাট, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর।

অন্যদিকে লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ী, বগুড়ার শাজাহানপুরের আশেকপুর, যশোর সদরের আরবপুর, বাগেরহাট সদরের রাখালগাছি, মোল্লারহাটের উদয়পুর, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আমড়াগাছিয়া, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নগদা শিমলা, নেত্রকোণার মদনের নায়েকপুর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সুতালড়ী, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দী ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ওইদিন।

এছাড়া একই দিন ৩৬টি জেলার ৫২টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৬০ সদস্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

বিভি/এইচকে/রিসি 

মন্তব্য করুন: