• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল

প্রকাশিত: ১২:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১২:১৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা গণসমাবেশের উপর দিয়ে র‌্যাবের একটি হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখা গেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, নিরাপত্তা জোরদারে বিএনপির সভাস্থলের উপরে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি চলমান রয়েছে।

র‌্যাব ছাড়ারও বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিয়মিত সদস্য, আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানীজুড়ে যে কোনো সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

এদিকে, শনিবার সকালে শুরু হওয়া গোলাপবাগের গণসমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। দলের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, সবার মতামতের ভিত্তিতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গণআন্দোলনের ১০ দফা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে দাবিনামাগুলো চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হয়। একই সঙ্গে সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে খসড়া প্রস্তাবনা দেখিয়ে তা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনে আগ্রহী সমমনা দলগুলোকে দাবিগুলোতে ঐকমত্য পোষণ করার এবং দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাবে দলটি। থাকবে আল্টিমেটাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সমাবেশ থেকে গণআন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা করা হবে।’ দফার বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, গণআন্দোলনের ১০ দফাগুলো হচ্ছে, সংসদ বিলুপ্ত করে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ; ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ-এর আলোকে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; বর্তমান কমিশন বিলুপ্ত করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন; খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আলেমদের সাজা বাতিল এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার বন্ধ ও সভা-সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করা; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, পানিসহ জনসেবার খাতগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল; নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা; বিগত ১৫ বছরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ারবাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কমিশন গঠন; গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতি ঘটনার দ্রুত বিচারসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ১০ দফা চূড়ান্ত করতে গতকাল শুক্রবারও গণতন্ত্র মঞ্চ ও ২০-দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারা একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিএনপির নেতারা। বৈঠকে বিএনপির দেওয়া গণআন্দোলনের দফাগুলো নিয়ে চূড়ান্ত চুলচেরা আলোচনা হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে দফাগুলো ঘোষণার ব্যাপারে তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: