• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাচ্ছেন নয়া রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪৯, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাচ্ছেন নয়া রাষ্ট্রপতি

বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এসময় উপস্থিত থাকবেন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানান বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে ফোন করে এ অভিনন্দন জানান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। ফোনালাপে তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন।

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন)-এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১-এর বিধি ১২-এর উপবিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনার-এর ঘোষণা মোতাবেক মো. সাহাবুদ্দিন, পিতা: মরহুম শরফুদ্দিন আনছারী, বাসা/হোল্ডিং-৮৮/১, গ্রাম/রাস্তা: শিবরামপুর, পাবনা পৌরসভা, ডাকঘর: পাবনা, পোস্ট কোড: ৬৬০০, উপজেলা: পাবনা সদর, জেলা: পাবনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হইয়াছেন।’

১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা সাহাবুদ্দিনের ছেলেবেলা কেটেছে পাবনা শহরে। শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে ভর্তি হন চতুর্থ শ্রেণিতে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। সেখানে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগে। 

এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে বিএসসি পাস করেন মো. সাহাবুদ্দিন।

পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ এডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।  ছাত্রলীগে যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থেকে ৬ বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে থাকা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। 

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। শুরুর দিকে পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন সাহাবুদ্দিন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষা দিয়ে বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। বিচারালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান মো. সাহাবুদ্দিন। এরমধ্যে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি ছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকার মধ্যে সরকার তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব দেয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড, রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2