‘বন্যার আগাম পূর্বাভাসে স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করা অতি জরুরি’
বন্যা মোকাবিলায় আগাম পূর্বাভাস এবং স্থানীয়দের দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘লার্ণিং শেয়ারিং’ কর্মশালায় এমন তাগিদ দেন তারা।
‘বন্যার আগাম পূর্বাভাসের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ততা’ নিয়ে আয়োজিত এই কর্মাশালায় বক্তারা জানান, মৌসুমী বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা অববাহিকার বাসিন্দারা। ফলে ধারাবাহিক উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়ছে এসব নদী অববাহিকার মানুষ। জাতীয় এবং আঞ্চলিক স্বার্থে বন্যা মোকাবেলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন বক্তারা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, কনসার্ণ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগরাওয়াল। বন্যা মোকাবিলায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন রাইমসের প্রকল্প সমন্বয়ক সামিয়া জাহান চৌধুরী। তিনি জানান, তিস্তা নদীর তীরে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নে ২০২২ সালের মে মাস থেকে শুরু হয় প্রকল্পটি। তিস্তা ব্যারেজের উজান থেকে তথ্য নিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এরপর কর্মসূচী এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বন্যা মোকাবিলায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হয় স্থানীয়দের।
জেড জিউরিখ ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে কর্মসূচীর উদ্যোক্তা কনসার্ণ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড। সামগ্রিক টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিয়ে কর্মসূচী এগিয়ে নিয়েছে ‘রেজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম- রাইমস’। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত আগাম বার্তায় স্থানীয়দের দক্ষ করে তুলেছে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র- জিইউকে এবং অ্যাসিস্ট্যান্স ফর সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট- আসড।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ‘রেজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম- রাইমসের’ বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রোগ্রাম লীড রায়হানুল হক খান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. জীবন কুমার সরকার, ড. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: