• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাওরে বিষটোপ দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’

প্রকাশিত: ১৭:০২, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
হাওরে বিষটোপ দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’

সংগৃহীত ছবি

মৌলভীবাজারের বড়লেখার হাকালুকি হাওরে বিষটোপ দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক হাঁস ও পাখি শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোঃ হুসেন আহমদ (২৬) নামে এক পাখি শিকারীকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা বনপ্রহরী মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে। এমনকি শিকারীকে বাঁচাতে তিনি পাখি শিকারের প্রকৃত তথ্যও লুকিয়েছেন।

 

এদিকে শিকার করা পাখিগুলো জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা। 

পাখি শিকারী মোঃ হুসেন আহমদ উপজেলার তালিমপুর ইউপি’র মুর্শীবাদকুরা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার সে হাকালুকি হাওরের একটি বিলে বিষটোপ দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক হাঁস-পাখি শিকার করেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার সকালে পাখিগুলো বস্তায় ভরে স্থানীয় কাননগোবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা বনপ্রহরী মোতাহার হোসেন পাখিসহ হুসেনকে আটক করেন। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের গর্হিত কাজ করবেন না’ মর্মে হুসেন মুচলেকা প্রদান করেন। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে বনপ্রহরী মোতাহার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, শনিবার সকালে মোঃ হুসেন নিজের জমিতে ধান রোপণ করতে গেলে তিনি ৩টি মরা হাঁস-পাখি পড়ে থাকতে দেখেন এবং তা বস্তায় ভরে স্থানীয় বাজারে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে তিনি তাকে আটক করেন। পরে তাকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সামনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে পাখি শিকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করছেন।

হাওরে বিষটোপ দেয়ায় মারাযাচ্ছে অনেক হাঁস ও পাখি

স্থানীয় পরিবেশকর্মী সাঈদ আহমদ ইয়াছের বলেন, পাখিগুলো জমিতে মরা থাকলে হুসেন আহমদ পাখিগুলো বাজারে নিয়ে আসবেন কেন! আর ৩টি পাখি বস্তায় ভরে আনতে হবে কেন! পাখিগুলো মরা হলে হুসেনকে মুচলেকা দিতে হবে কেন! তাতে প্রমাণ হয় হুসেন পাখি শিকার করে বিক্রির জন্য বস্তায় ভরে তা বাজারে নিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
 

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2