• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইসরাইলের বন্ধু আর শত্রুদের কথা

তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১০ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ইসরাইলের বন্ধু আর শত্রুদের কথা

১৪ই মে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের একটি সনদের (United Nations Partition Plan) মাধ্যমে বৃটেনের দখলিকৃত প্যালেস্টাইন (British Mandate of Palestine) এর একটি অংশ নিয়ে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় এবং যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলে একটি ইহুদী রাস্ট্রের গোড়াপত্তন হয়। 
উল্লেখ্য বৃটেনের দখলে আসার আগ পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অঞ্চলটি তুরস্কের (অটোম্যান সাম্রাজ্য) অধিনে ছিলো। 
ইসরেল রাস্ট্র ঘোষনার পরদিনই আরব লীগ এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করে এবং ইসরাইলী অংশে যুদ্ধ ঘোষনা করে আক্রমন করে যা 1948 Arab–Israeli War নামে পরিচিত।


১৭ই মে ১০৪৮ এ যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনই রাশিয়া (তৎকালিন সোভিয়েট ইওনিয়ন) প্রথম দেশ হিসাবে ইসরেলের স্বাধীনতার (de jure) ঘোষনা দেয়।  এরপর একে একে নিকারাগুয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, যুগস্লোভিয়া ও পোলান্ড রাশিয়ার পদাংক অনুসরণ করে ইসরেলের স্বাধীনতা মেনে নেয়। 
প্রথম আরব-ইসরেল যুদ্ধ (May 15, 1948 – Mar 10, 1949) চলাকালিন সময়েই আমেরিকা, ইরান, গুয়াতেমালা, আইসল্যান্ড, নিকারাগুয়া, রোমানিয়া এবং উরুগুয়ে ইসরাইলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন (de facto) ঘোষনা করে। 

মুসলিম বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে তুরস্ক ১৯৪৯ সালে-ই ইসরেলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক রেভুলেশনের পর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান পূর্বে দেয়া ইসরেলী স্বাধীনতা প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইসরেলের সংগে  সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ঘোষনার পর প্রথম দেশ হিসাবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। এবং দ্বিতীয় দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিলো ইসরেল। কিন্তু নবগঠিত বাংলাদেশ রাস্ট্র ইসরেলের সেই স্বাধীনতার স্বীকৃতি প্রত্যাখান করে। 


ভুটানের কোন স্বাধীন পররাস্ট্রনীতি নেই; ভুটানের পররাস্ট্রনীতি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়। ভারত ১৯৫০ সালেই ইসরেলকে স্বীকৃতি দিলেও ভুটানের সংগে ইসরেল এর আনুষ্ঠান যোগযোগ শুরু হয়ে ২০২০ সালে। 
রাশিয়ার তাবেদার দেশ হওয়া সত্বেও উত্তর কোরিয়া কোনদিনই ইসরেল এর স্বাধীনতা মেনে নেয়নি; এখনও দেশটি ইসরেলকে স্বীকার করে না। 


মধ্যপ্রাচ্যের আরব জিসিসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আরব আমিরাত ও বাহরাইন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইসরেল এর সংগে পূর্ণ কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং ইসরেলকে দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। যদিও সৌদী আরব, কাতার, ওমান ও কুয়েত ইসরেলকে স্বীকার করে না। 


আলজেরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইসরেলকে স্বীকার করে না। যদিও এই দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইসরেল এর আনঅফিসিয়াল যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি দেশ দুটির নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াতও আছে। 
এছাড়া ইয়েমেন, লেবানন, সোমালিয়া, সিরিয়াও ইসরেলকে স্বীকার করে না। 
শুধুমাত্র দুটি আমেরিকাস কান্ট্রি কিউবা এবং ভেনেজুয়েলা একসময় ইসরেল কে রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিলেও পরবর্তীতে দেশটির সংগে কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে; বর্তমানে কিউবা ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ইসরেল এর কোন কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
 

মন্তব্য করুন: