• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

‘বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিরোধী হয়ে উঠার কারণ ভারতকেই খুঁজতে হবে’

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ৩০ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
‘বাংলাদেশের মানুষের ভারতবিরোধী হয়ে উঠার কারণ ভারতকেই খুঁজতে হবে’

ছবি: নৈতিক সমাজ আয়োজিত সমাবেশে

এদেশের ৭০ ভাগ মানুষ এখন ভারতবিরোধী। কেন মানুষের মধ্যে এমন মনোভাব গড়ে উঠছে তার কারণ ভারতকেই খুঁজতে হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নৈতিক সমাজ আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসা আমিন।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে এটা যেমন সত্য তেমনি এখানে তাদেরও বিশাল স্বার্থ ছিলো সেটাও তেমনি সত্য। 

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন সরকারের নীতি ও আধিপত্যবাদের কারণেই বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করছে। জাতি হিসেবে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে মাথা তুলে থাকতে চায়। কিন্তু এদেশের একদলের নেতা বলছেন, তাদের আধিপত্য মানি না। আরেক দল বলছে, বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, বন্ধু আছে।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমসা আমিন বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্র পরিচালনায় উন্নত ভাবমূর্তি তৈরি করার জন্য, ‘রি-ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ নামে একটি আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫৪ বছর পরও পৃথিবীতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা বা ‘ব্র্যান্ডিং’ খুব খারাপ। বিশ্ব সমাজে, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনে, বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচনে কারসাজি হয়, অর্থনীতি সংকটে পড়েছে, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি চলছে, আছে খাদ্য সংকট, ডলার সংকট, ব্যাংক ব্যবস্থায় সংকট, বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকট ইত্যাদি লেগেই আছে। 

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও যৌন হয়রানি বেড়ে গেছে। সরকার বায়ু দূষণ ও সড়কে মৃত্যুর হার কমাতে পারছে না, ব্যবসা বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ, ঋণ পরিশোধ সংকটে পড়েছে, কারণ ডলার রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বা ব্র্যান্ডিং এতো খারাপ হওয়ার মৌলিক কারণ হলো অনিয়ম, অপরাধের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনীতি এবং সন্ত্রাস-সংঘাতের রাজনীতি। দেশকে জাতিকে সমাজকে বাঁচানোর জন্য তাই ‘রি-ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ অর্থাৎ ভাবমূর্তি উন্নত করার ব্র্যান্ডিং করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজের নেতা সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, নৈতিক নারী সমাজের সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, গোলাম কিবরিয়া দিপু, বিএসপিওপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আলহাজ্জ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, পিপলস্ পাওয়ার পার্টির মহাসচিব নুর মোহম্মদ, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মো. আবু সাঈদ, জনাব মো. বিল্লাল হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান এবং তরুণ নেত্রী অ্যাডভোকেট নুর তাজ আরা ঐশী প্রমুখ।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2