দেশি ৫ ফুলের নির্যাসে বিশ্বমানের পারফিউম তৈরি করলেন এক নারী
দেশে প্রচলিত ৫টি ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের পারফিউম। যার আবিষ্কারক বাংলাদেশেরই এক নারী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই পারফিউমের সুঘ্রাণ এখন ছড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশের গণমান্য ব্যক্তিদের ঘরেও।
সাবেক রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী নাসরীন জামির পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। স্বামীর পেশার তাগিদে ফ্রান্সে বাস করতে গিয়ে আকৃষ্ট হন সুগন্ধির প্রতি। বাংলাদেশে প্রচলিত ৫টি সাদা ফুলের ঘ্রাণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উদ্যোগ নেন সেগুলো দিয়ে পারফিউম তেরির। বিভিন্ন দেশ ঘুরে এবং গবেষণা করে পারফিউম তৈরির দক্ষতা অর্জন করলেও দেশে এসে হতাশ হতে হয় তাকে।
নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে অনেক ঘুরেও দেশের কোথাও ভালো মানের ল্যাব এবং কারখানা খুঁজে পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে নিজের ডিজাইন করা পারফিউম নিয়ে চলে যান মালয়েশিয়ায়। সেই দেশের একটি কারখানায় তৈরি করেন ৫ রকমের পারফিউম। বাজারে নিয়ে আসেন পারফিউমের বাংলাদেশি ব্র্যান্ড জোনাকি।
শুধু পারফিউমই নয়, বর্তমানে জোনাকি তৈরি করছে ব্যতিক্রমী কিছু আতরও। এছাড়া, বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড়, নারীদের নানান প্রসাধনী এবং দেয়ালিকাও রয়েছে জোনাকি ব্র্যান্ডের। এসব পণ্য বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টিতে আনতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের ছোট্ট একটি কক্ষে ফ্ল্যাগশিপ স্টোরও দিয়েছেন তিনি। নাসরিনের দাবি, দেশের ইউনিক পণ্য বিশ্বের কাছে পরিচিত করাই তার এই উদ্যোগের একমাত্র লক্ষ্য।
জোনাকি পারফিউম ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা নাসরীন জামির বাংলাভিশনকে বলেন, আমি চাই বিদেশি ডেলিগেট যারা বাংলাদেশে আসে তাদের হাতে বাংলাদেশি একটি পণ্য ধরিয়ে দিতে। সুগন্ধি মানুষের মনে প্রেম তৈরি করে, মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও বহন করে। তাই আমি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য হিসেবে তাদের হাতে পারফিউম তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করি। এজন্যই পাঁচতারকা হোটেলে ছোট পরিসরে হলেও একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোর দিয়েছি।
সম্প্রতি ভূটানের রাজা, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা জোনাকির এই পারফিউমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং সংগ্রহ করেছেন বলেও দাবি করেন নাসরিন।
জোনাকির মূল লক্ষ্য বিদেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হলেও দেশীয় গ্রাহকদের জন্যও অনলাইনে সুগন্ধি বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বিভিন্ন সুপার শপেও তাদের পণ্য বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন জোনাকি।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: