• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

যে কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলো সিত্রাং, কী এর অর্থ?

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ২৪ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১০:৫৪, ২৬ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
যে কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলো সিত্রাং, কী এর অর্থ?

সিত্রাং ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটা সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ৭নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ধংশযজ্ঞ চালাতে পারে দেশের ১৯ জেলার উপকূলে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) তালিকা অনুযায়ী এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া সিত্রাং। 

সিত্রাং কি?

ঘূর্ণিঝড়টির Sitrang নামকরণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের দেয়া তালিকার প্রথম নাম অনুসারে।

থাইল্যান্ডের উচ্চারণ অনুযায়ী এই ঝড়ের নাম 'সি-তরাং'। 'সিতরাং' বা 'সি-তরাং' থাইল্যান্ডের একটি পদবি। ভিয়েতনামী ভাষায় এর অর্থ পাতা। 

কখন নাম করণ করা হয়?

সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ প্রথমে নিম্নচাপে পরিণত হয়। শক্তিশালী হয়ে উঠলে নিম্নচাপটি এরপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তখনই তালিকায় আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা একটি নাম দেওয়া হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়টির। সাধারণত আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এমন নামে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। কোনো নামেরই পুনরাবৃত্তি করা হয় না।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন প্রয়োজন?

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে পূর্বে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর সময় বা তারিখসহ বিভিন্ন আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। কিন্তু নামবিহীন থাকলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি, ধরন সম্পর্কে পরবর্তীতে তথ্য জানা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।

যেভাবে  ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়:

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) ছয়টি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করেছে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

২০০৪ সালে প্রথমবার নামকরণ শুরুর সময় ৬৩টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। সেগুলো শেষ হলে ২০২০ সালের এপ্রিলে সম্ভাব্য ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকার অনুমোদন দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। এই তালিকার নামগুলো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ। বাকি ১২টি দেশ হলো ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। যার মধ্যে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে গেলো বছর বাংলাদেশ-ভারত উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পান।

নতুন করে দেওয়া ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম

বাংলাদেশ : নিসর্গ, বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, বর্ষণ, রজনী, নিশীথ, ঊর্মি, মেঘলা, সমীরণ, প্রতিকূল, সরবর, মহানিশা।

ভারত: গাতি, তেজ, মুরাসু, আগ, ভায়ুম, ঝড়, প্রবাহ, নীড়, প্রভানজান, ঘূর্ণি, আমবুদ, জালাদি, ভিগা।

ইরান: নিভার, হামুন, আগভান, সিপান্দ, বুরান, আনাহিতা, আজআর, পোয়ান, আরশাম, হেনজামি, সাভাস, তাহামতান, তুফান।

মালদ্বীপ: বুরিভি, মিদহিল, কানি, ওডি, কিনাউ, এন্ধেরি, রিয়াউ, গুরুভা, কুবাংগি, হোরাংগু, থুনডি, ফানা।

মিয়ানমার: তুয়াতি, মিগজায়ুম, নাগামান, কাজাথি, যাবাগজি, ইউয়ুম, মউইহু, কাউই, পিংকু, জিনগাউন, লিনইওনি,কাইকান, বাউপা।

ওমান: ইয়াস, রিমাল, সাইল, নাসিম, মুথন, সাদিম, দিমা, মানজর, রুকাম, ওয়াতাদ, আল-জারয, রাবাব, রাদ।

পাকিস্তান: গুলাব, আসনা, সাহাব, আফসান, মানাহিল, সুজানা, পারওয়ায, জান্নাতা, সারসার, বাদবান, সাররাব, গুলনার, ওয়াসেক।

কাতার: শাহীন, ডানা, লুলু, মউজ, সুহাইল, সাদাফ, রিম, রায়হান, আনবার, ওউদ, বাহার, সাফ, ফানার।

সৌদি আরব: জাওয়াদ, ফেনগাল, ঘাজির, আসিফ, সিদরাহ, হারিদ, ফাইদ, কাসির, নাখিল, হাবুব, বারেক, আরিম, ওয়াবিল।

শ্রীলঙ্কা: আসানি, শাক্তি, জিগুম, গগনা, ভারামভা, গাজানা, নিবা, নিনাদা, ভিদুলি, ওঝা, সালিথা, রিভি, রুদু।

থাইল্যান্ড: সিতারাংগ, মনথা, থিয়ানুট, বুলান, ফুতালা, আইয়ারা, সামিংগ, কারইসন, মাতচা, মাহিংসা, ফারিওয়া, আাসুরি, থারা।

আরব আমিরাত: মানদউস, সেনইয়ার, আফুর, নাহ-হাম, কুফফাল, দামান, দিম, গারগুর, খুব, দিগল, আথমাদ, বুম, সাফার।

ইয়েমেন: ব্রম, শুকরা, ফারতাক, দারসাহ, সামহাহ, বাকহুর, ঘাওয়েযি, হাউফ, বালহাফ, মোকহা, দিতওয়াহ, দিকসাম, সিরা।

উল্লেখ্য, এর পরে যে ঝড়টি আসবে তার নাম হবে আরব আমিরাতের দেওয়া নাম ‘মানদাউস’। তার পরেরটা ইয়েমেনের নাম, ব্রম।

বিভি/কেএস/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2