পৃথিবীর সবচেয়ে ‘খ্যাতিমান ও আলোকচিত্রিত’ নারী যিনি

প্রিন্সেস ডায়ানাকে বলা হত পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। তাকেই বলা হত বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী। প্রিন্সেস ডায়ানা বা প্রিন্সেস অব ওয়েলস ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রয়াল পরিবারের এই নারী। ১৯৬১ সালের ১ জুলাই জন্মকালে তার নাম ছিলো ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার।
প্রিন্সেস ডায়ানা ছিলেন তৎকালীন যুবরাজ ও বর্তমান রাজা চার্লসের প্রথম স্ত্রী এবং ১৯৮১ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী ছিলেন। ১৯৮১ সালে বিবাহের পর থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হত পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। ফ্যাশন, সৌন্দর্য এবং এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তার অবদান, এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তার আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করেছিল। তার জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হত বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী।
১৯৮১ সালে বিবাহের পর থেকে ১৯৯৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত তাকে ‘হার রয়াল হাইনেস দি প্রিন্সেস অফ ওয়েল্স’ বলে সম্বোধন করা হত। এরপর রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশক্রমে তাকে শুধু ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েল্স বলে সম্বোধনের অনুমতি দেওয়া হয়। তার পুত্র রাজপুত্র উইলিয়াম ও হ্যারি, ব্রিটিশ মসনদের উত্তরাধিকারীদের তালিকায় যথাক্রমে প্রথম ও পঞ্চম।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি দানশীলতার জন্য খ্যাত ছিলেন। কিন্তু, তার এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারীর গুজবে, যার মধ্যে ছিল তার বিয়ে সংক্রান্ত কাহিনী। চার্লসের সাথে ডায়ানার বিয়ে সুখে-শান্তিতে কাটেনি। নব্বইয়ের দশকে ডায়ানার পরকীয়া প্রেমের কাহিনী সারা বিশ্বের পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। চার্লসের বিশ্বাসঘাতকতাসহ নানা কারণে অবশেষে ১৯৯৬-এ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ডায়ানা ও তার তখনকার প্রেমিক দোদি ফায়েদ এক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: