জাবি শিক্ষক জান্নাতুলের মৃত্যু: আনন্দের ক্যাম্পাসে হঠাৎ চাপা কান্না

দিনভর ভোট দেওয়ার আনন্দ, রাতের উত্তেজনা শেষে ফলাফলের অপেক্ষা শুরু, এর মধ্যেই হঠাৎ এলো বিষাদের খবর। ভোট গণনার কাজে যুক্ত হতে অফিসে এসেই ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা দেন মৃত্যুর খবর। তাতেই ছড়িয়ে পড়ে বিষাদের সুর।
লাশবাহী গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে আনা হয় শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের (৩২) মরদেহ। লাশবাহী গাড়িটি ঘিরে জটলা করেছেন অনেকে। কেউ শোকে পাথর হয়ে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ নিজেকে সামলাতে না পেরে উচ্চ স্বরে কাঁদছেন, কেউ আবার সান্ত্বনা দিচ্ছেন অন্যজনকে।
শুক্রবার বেলা একটার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনের সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। বেলা সোয়া একটার দিকে লাশবাহী গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। জুমার নামাজের পর তার জানাজার নামাজ সম্পন্নও হয়েছে।
প্রয়াত জান্নাতুল ফেরদৌস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে একই বিভাগের শিক্ষক হন। শুক্রবার সকালে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার কাজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রিয় শিক্ষক, সহকর্মী কিংবা বন্ধুর এমন মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। যে শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত নিজেদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতেন, নানা সমস্যার কথা বলতেন অকপটে; আজ তার নিথর উপস্থিতি কেউই মানতে পারছেন না। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীদের অনেকেই। তাদের কেউ কেউ জানান, শিক্ষক হলেও জান্নাতুলকে বোনের মতো মনে করতেন তারা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: