• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

জনতার আস্থার বাতিঘর তারেক রহমানের আজ জন্মদিন

আতিকুর রহমান রুমন

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২০ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০০:১২, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জনতার আস্থার বাতিঘর তারেক রহমানের আজ জন্মদিন

তারেক রহমান

বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন, যাদের নাম উচ্চারিত হলেই মানুষের হৃদয়ে নতুন বিশ্বাসের আলো জ্বলে ওঠে। তারেক রহমান সেই বিরল ব্যক্তিত্বদের একজন— যিনি শুধুই নেতা নন, তিনি আশা, প্রেরণা ও নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির নাম।

আজ ২০ নভেম্বর, জনতার আস্থার বাতিঘর তারেক রহমানের জন্মদিন। আজকের এই দিন শুধু একজন জননেতার জন্মদিন নয়, একটি অবিচল বিশ্বাসের, এক অদম্য সাহসের, এক স্বপ্নবাহী নেতৃত্বের পুনর্জাগরণের দিন এটি। তারেক রহমান শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নন; তিনি দেশপ্রেমে উজ্জ্বল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের প্রতীক। ফ্যাসিবাদী প্রতিপক্ষের অমানবিক প্রতিহিংসা, ষড়যন্ত্র ও অবিচারের বোঝা বুকে নিয়েও তিনি মানুষের সেবা করার অঙ্গীকার থেকে কখনো সরে যাননি। সুদূর প্রবাস থেকে আজও দলকে পরিচালনা করছেন দূরদর্শিতা, মমতা ও অবিচল দায়িত্ববোধ দিয়ে।  

২০ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন এলে তাই হৃদয়ের গভীর থেকে একটাই প্রার্থনা বেরিয়ে আসে— এই মহৎ মানুষের জীবন হোক আলোকিত, তাঁর পথচলা হোক বিজয়ের এবং তাঁর প্রত্যাবর্তন হোক বাংলাদেশের নতুন আশার সূর্যোদয়।

তারেক রহমানের রাজনীতি শুরু হয়েছিল দায়িত্বের জায়গা থেকে, কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেটি রূপ নিয়েছে এক দর্শনে— এক মানবিক রাজনৈতিক চেতনায়। তাঁর কাছে রাজনীতি মানে ক্ষমতার চেয়ার নয়, মানুষের কল্যাণ। তিনি যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষ, কর্মজীবী শ্রেণি, তরুণ সমাজ এবং পশু-পাখির মতো নীরব প্রাণীদের প্রতিও ভালোবাসা দেখিয়েছেন— তা তাঁকে এক অনন্য চরিত্রে রূপ দিয়েছে। রাজনীতি, মানবতা ও দেশপ্রেম— এই তিনের সীমানা তাঁর জীবনে এক বিন্দুতে মিলেছে।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামের মানবিক সংগঠনের মাধ্যমে তিনি অসহায়, দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষের পাশে রয়েছেন নীরবে। সাহায্যের রাজনীতি নয়— এ ছিল মানবিক দায়িত্বের প্রকাশ। কারও ঘর পুড়ে গেলে, কারও সন্তান চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পেলে, কোনো অসহায় পরিবারের দুঃখ-কষ্টে বা অনাহারে দিন কাটালে— তারেক রহমানের সহায়তা সেখানে পৌঁছে গেছে নিঃশব্দে, আলোচনার বাইরে থেকে। তিনি জানেন, মানবতার সেবা প্রচারণা নয়, বরং অন্তর্নিহিত দায়িত্ব।

সারা দেশে অসংখ্য হতদরিদ্র, অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবিক ও আবেগী নেতা তারেক রহমান। তাঁর এতো বিস্তৃত মানবিক কর্মকাণ্ডের ভেতর থেকে মাত্র তিনটি হৃদয়স্পর্শী উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলোঃ

তারেক রহমানের সহায়তায় জমি কিনলেন জন্মান্ধ গফুর মল্লিক।
রাজবাড়ী জেলার জন্মান্ধ গফুর মল্লিক (৮০) দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বয়সের নানা কষ্ট সঙ্গী করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ট্রেনে নাড়ু, টেস্টি হজমি ও বাদাম বিক্রি করে দিন কাটাচ্ছিলেন। দৃষ্টিহীনতা, বয়সের ভার ও অনিশ্চিত জীবিকার এই নির্মম বাস্তবতা দেখে ব্যথিত হন তারেক রহমান। মানুষের প্রতি তাঁর সেই স্বভাবসুলভ মমতা ও মানবিকতার টানে তিনি এগিয়ে আসেন সহায়তার হাত বাড়িয়ে।

৩০ অক্টোবর ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের মাধ্যমে তিনি গফুর মল্লিককে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন, যা জীবনযুদ্ধের ক্লান্ত পথে এক টুকরো উষ্ণতার মতো এই দূর্বল বৃদ্ধের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত গফুর মল্লিক বলেন, “আল্লাহর হুকুমে তারেক রহমান আমাকে সাহায্য করেছেন। এই টাকা দিয়ে আমি এক পাখি জমি কিনব, বাড়িতেই কিছু সদাইপাতি এনে টুকটাক ব্যবসা করব। আর ট্রেনে নাড়ু বিক্রি করব না। তারেক রহমানের জন্য আমি দোয়া করি।”

গফুর মল্লিকের চোখে আনন্দের জল, মুখে খুশির হাসি— এভাবেই তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা জন্ম দিয়েছে এক নতুন জীবন ও নতুন স্বপ্নের আলো।

ক্যান্সার আক্রান্ত মা ও পঙ্গু ছেলের পাশে তারেক রহমান।
২২ বছরের তরুণ তানজীমুলের শরীরে বাসা বেঁধেছে রক্তক্ষয়জনিত মরণব্যাধি হিমোফিলিয়া। ভয়াবহ এই রোগের কারণে তার দুই হাতের কনুই, দুই পায়ের হাঁটুসহ মোট চারটি জয়েন্টই বেকে গেছে। দিনদিন স্বাস্থ্য অবস্থার অবনতি ঘটছে, আর মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এই অসহায় তরুণের জীবন। এরই মাঝে পরিবারের ওপর নেমে আসে আরেকটি নির্মম আঘাত— তানজীমুলের মা ধরা পড়েন ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিতে। নিজে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থেকেও সন্তানের চিকিৎসা নিয়ে যে আশা-আকুলতা তার মনে, সেটুকুও তীব্র অভাব-অনটনের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছিল।

"ছেলে হয়ে যাচ্ছে পঙ্গু, মায়ের ক্যান্সার"- একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এই মানবিক আর্তনাদের প্রতিবেদনটি পৌঁছে যায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে। সংবাদটি দেখেই তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং তৎক্ষণাৎ ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ককে পরিবারটির খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মানবিক নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ১০ নভেম্বর ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে গিয়ে তানজীমুল ও তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে তারেক রহমান তাদের প্রতি নিজের সহমর্মিতা, আন্তরিক দোয়া এবং পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন— যা এই সংগ্রামরত পরিবারটির জন্য হয়ে ওঠে নতুন আশার আলোকচ্ছটা।

লেখক: আতিকুর রহমান রুমন।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, আহ্বায়ক, আমরা বিএনপি পরিবার ও সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল।

(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2