মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের বগিতে থেকে যাওয়া পোড়া জীবন
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ট্রেনটির পুড়ে যাওয়া একটি বগি থেকে মা ও শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর ট্রেনটি নিয়ে যাওয়া হয় কমলাপুর রেলস্টেশনে। সেখানেই তোলা হয়েছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের পুড়ে যাওয়া বগির ছবি—
পড়ে আছে ওষুধ, স্যালাইনের প্যাকেট আর চশমা। এসব জিনিস যার, কী ঘটেছে তার ভাগ্যে, সেটা অজানা
কোনো যাত্রী হয়তো সঙ্গে নিয়েছিলেন হোমিওবাক্সটি। তিনি কে, আদৌ বেঁচে আছেন কি না জানা যায়নি। কারণ, ট্রেনের বগিতে লাগানো আগুনে নিহত দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। পাশে পড়ে থাকা বইটি হয়তো ট্রেনের কোনো যাত্রীর। সময় কাটাতে পড়ছিলেন। পুড়ে যাওয়া বগিতে এভাবেই ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে সব
প্রিয় স্কুলব্যাগটি নিয়ে হয়তো ট্রেনে চড়েছিল কোনো শিশু। পুড়ে যাওয়া বগিতে ব্যাগটি এভাবেই পড়েছিল। কিন্তু স্কুলব্যাগটি কার, তা জানা যায়নি
পুড়ে যাওয়া দুটি আসন সাক্ষ্য দিচ্ছে আগুনের ভয়াবহতার
কয়েক ঘণ্টা আগেও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছিল পাশের ট্রেনটির মতোই চকচকে। এখন তিনটি বগিতে ধ্বংসের চিহ্ন নিয়ে ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে থেমে আছে
পুড়ে ছাই হয়েছে সব
কয়েক ঘণ্টা আগেও হয়তো ট্রেনের বগিটি ছিল গল্পে-কথায় সরগরম। ভোরের দিকে কেউ হয়তো চোখ বুজে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। আর এখন চারপাশে ধ্বংসের চিহ্ন নিয়ে থমকে আছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস
আগুন নেভানোর পর তেজগাঁও থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি
আগুনের ভয়াবহতা কতটা ছিল
আগুন নিভলেও রয়ে গেছে ভয়াবহতার চিহ্ন
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: