টিভিতে বিব্রতকর সাক্ষাৎকারের পর অবস্থান পাল্টালেন বিএনপি নেতা
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রউফউন্নবী
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ইতোমধ্যে বহিষ্কারের শিকার ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রউফউন্নবী। তবে এবার একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার পরে বিব্রত তিনি। বললেন, নির্বাচনী কাজে ব্যস্ততা পাশাপাশি দলের আভ্যন্তরীণ নানা ঝামেলায় মুখ ফসকে তিনি যা বলেছেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এটি আসলে তার মনের কথা নয়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রউফউন্নবী একথা বলেন। ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীকে প্রার্থী তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রউফউন্নবী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত তাকে কেউ জানায়নি। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাকে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। আর যখন তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানতে পারেন তখন নির্বাচন থেকে সরে আসার মতো পরিস্থিতি ছিলোনা। তিনি পারিবারিকভাবেই নির্বাচনমুখী। এর আগে একাধিকবার ইউপি নির্বাচন করেন। কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত রাখতে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে জানান।
বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি এখনো শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে রউফউন্নবী বলেন, তাকে আগেও একবার বহিস্কার করা হয়েছিলো৷ আবার নতুন করে বহিস্কারে এটিই প্রমাণিত হলো যে, আগেরবারের বহিষ্কারের তথ্য সঠিক নয়। এবারেও তাকে বহিষ্কারের যে কথা বলা হচ্ছে তাও যুক্তিযুক্ত নয়।
নিজেকে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে তিনি বিএনপি করছেন। ফরিদপুরের সদর আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের হাত ধরে তার রাজনীতিতে আসা। শহীদ জিয়ার আদর্শে তিনি আজীবন কাজ করছেন। তিনি মনে করেন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি সরকারের প্রতিনিধি হটিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ, দল ও জনগণের সেবা করতে সক্ষম হবেন।
প্রসঙ্গত, এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ফরিদপুরের রউফউন্নবী সহ সারাদেশের ৭৩ জন প্রার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: