আওয়ামী লীগের ৪ নেতা গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের
সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু
নরসিংদী জেলার রায়পরার উপজেলার বাশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু, নরসিংদী সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা খাতুনসহ রায়পুরা থানা ও জেলা পুলিশের ৪৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ মামলায় মোট ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুম হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
নরসিংদীর আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকি অভিযোগটি সিআইডিকে অভিযোগটি এফ আই আর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জজ আদালতের আইনজীবী রাকিব হাসান।
অভিযুক্তরা হলেন- নরসিংদী জেলা পুলিশের সাবেক এস পি আমেনা খাতুন, সাবেক রায়পুরা সার্কেল এএসপি বেলাল হোসেন, সাবেক ওসি আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহসহ আরও ৬৩ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ জুন দুপুরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি রূপ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭ বছর অতিক্রম করার পরও তারা বাসায় ফিরেনি।
ভুক্তভোগীদের পরিবার তাদের সন্ধান চেয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বাঁধা দেয় এবং হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়।
তাছাড়াও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলো।
নরসিংদী সিআইডির সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাহফুজা আক্তার বলেন, "আমাদের হাতে এখনও মামলার কপি আসে নি। যদি আজকে মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে ২-৩ দিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে।"
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: