সিআরআই, আওয়ামী লীগের গুজব ফ্যাক্টরি (ভিডিও)
ধানমন্ডি ৩২ এর এই ভবনেই ছিলো আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাংক খ্যাত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বা সিআরআই- এর অফিস। চলতো গবেষণা, আসতো সিদ্ধান্ত। জুলাই গণ-অভ্যত্থানের পর এখানে অফিসটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের হয়ে ডিজিটাল জগতকে নিয়ন্ত্রণ করা খোদ সিআরআই’র বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই অনলাইনে। ৫ জুলাইয়ের পর সিআরআইয়ের সকল অনলাইন পেইজ ডাউন পাওয়া গেছে। এছাড়া ওয়েবসাইটটিও সাসপেন্ড রয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কী গবেষণা হতো সিআরআইতে? কি ধরনের সিদ্ধান্ত আসতো? অনেকেই বলছেন, সিআরই মূলত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের গুজব ছড়ানোর ট্যাংক। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষকে ডিজিটালি দমনই ছিলো সিআরআই-এর প্রধান কাজ। এছাড়া অপতথ্য ছড়ানোর কারিগরও ছিলো এই সিআরআই।
মেটার ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুকে ‘সুসংগঠিতভাবে ভুয়া প্রচারণার’ অভিযোগে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) সংশ্লিষ্ট ৫০টি অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ মুছে দিয়েছে মেটা।
সিআরআই-এর এসব কাজে অর্থায়ন করতো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের লুটেরা নেতা-কর্মী, এমপি, মন্ত্রীরা। সিআরআ্ই চলতো এক ঝাঁক বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডিজিটাল বিশ্বে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা, যাদের মাসিক বেতন ছিলো লাখ টাকা উপরে। এসব ব্যক্তিরা সমন্বয় করতো স্থানীয়দের সাথে।
আওয়ামী নেরেটিভ প্রতিষ্ঠা এবং তরুণদের ব্রেইন ওয়াশে কাজ করতো সিআরআই এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম লেটস টক অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাইকৃত তরুণদের ডেকে নির্বাচিত প্রশ্নে চলতো সিআরআই-এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম লেটস টক। আওয়ামী বন্দনার এসব প্রোগ্রামে তরুণদের আকৃষ্ট করে চলতো আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠায় জয়গান। এ যেনো হীরক রাজার যন্তর-মন্তর ঘর।
জুলাই গণহত্যায়ও সিআরআই-এর ভূমিকা ছিলো উল্লেখযোগ্য। ছাত্র সমন্বয়কদের অবস্থান নির্ণয়, যোগাযোগ, পরিকল্পনা ইত্যাদি শনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে সিআরআই। সেসময় গণ অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে কাজ করতে একটি দলকে নিয়মিত প্রশিক্ষণও দেয় ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সিআরআই।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: