দেশের জনগণ কোনো সরকারের করুণার পাত্র নয়: তারেক রহমান

ছবি: ফাইল ফটো
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের জনগণ কোনো সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কোনো সুযোগ নেই।’ রবিবার (২৫ মে) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক ও রাজনৈতিক বৈধতার সংকট নেই। তবে অবশ্যই এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করে রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার। সংস্কারের বিকল্প নেই, আবার অল্প বা বেশি সংস্কার বলেও কিছু নেই। রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রাষ্ট্রে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদীয় সরকার গঠিত হলে অবশ্যই সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
তারেক রহমান বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার—সরকারের চরিত্র যাই হোক, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়তো নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এনবিআরের হয়তো সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই। তবে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এনবিআরের ভূমিকা মুখ্য। এমন বাস্তবতায় বাজেট পাশের ঠিক আগ মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার হঠাৎ করেই এনবিআরের সংস্কার চাপিয়ে দিয়ে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে যে একটি অচল অবস্থা সৃষ্টি করেছে, এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য কিন্তু খুব ভালো বিষয় নয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয় নয়। দেশের স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায়, একদিকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অপরদিকে এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে এক রকমের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।’
জনগণের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ধরনের অজুহাত কিংবা গড়িমসির সুযোগ নিয়ে পতিত পলাতক পরাজিত স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিবাদ উত্থান মোকাবিলায় একতরফা ইস্যুতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ বিগত ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ।’
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: