পাবনায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
ফাইল ছবি
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার ওপর জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দলটির অভিযোগ, জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল নিজেই এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিএনপির দাবি, প্রচারণায় জামায়াত কর্মীরা ‘ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকিট’ জাতীয় বক্তব্য ব্যবহার করলে স্থানীয় কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিবাদ জানান। পরে জামায়াত কর্মীরা তাদের ওপর মারমুখী হয় এবং অতর্কিতে বিএনপি কর্মীদের টার্গেট করে আক্রমণ করে।
দলটি আরও জানায়, দুয়েকটি গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করলেও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত অবস্থায় দেখা গেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে এই সংযমকে দুর্বলতা ভাবা উচিত নয়। সহিংসতা উস্কানি সত্ত্বেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিএনপি। কারণ, নির্বাচনী পরিবেশ অনিশ্চিত হলে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামায়াতের দাবি, তাদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলা করেছে বিএনপির লোকজন। আর বিএনপি বলছে, স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে জামায়াতের লোকজনকে ধাওয়া দিয়েছে।
বিভি/এআই




মন্তব্য করুন: