• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিধি-নিষেধে বিএনপি’র সমাবেশের তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিধি-নিষেধে বিএনপি’র সমাবেশের তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্ত

করোনায় রোধে সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে চলমান সভা-সমাবেশের তারিখ পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যদিও দলটি মনে করে, করোনা প্রতিরোধে নয়, সরকার বেশি আগ্রহী বিরোধীদল দমনের সুযোগ খোঁজায়।   

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন করে আরোপ করা বিধি-নিষেধকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক বলে মনে করছে বিএনপি। তবে জনস্বার্থ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে চলমান সভা-সমাবেশের তারিখ পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, দোকানপাট-শপিংমল খোলা রাখা যাবে, মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করা যাবে, সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ থাকতে পারে না।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিএনপি’র আন্দোলনের যে কর্মসূচি চলছিলো, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের যেসব কাজ আছে, সেসবই করছে এই সরকার। অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এটাই স্বাভাবিক।

‘সরকার করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে যতোটা না আগ্রহী, তার চেয়েও বেশি আগ্রহী বিরোধী দল দমনের সুযোগ খোঁজায়’ উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘১১ দফা নির্দেশাবলি জারি হওয়ার আগেও আমাদের দেশের বহু স্থানে সভা–সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, নেতা–কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের বিধি-নিষেধের সংগে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অথবা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সাংঘর্ষিক। সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় এ নির্বাচনকে স্থগিত করতে এ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে সরকার অনুরোধ করেনি। অতএব এ বিধি-নিষেধ যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১০ জানুয়ারি উন্মুক্ত স্থানে সভা–সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপরই বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চলমান কর্মসূচির তারিখ পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: