• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

হেফাজত সত্যি কী ‘মুচলেকা’ দিয়েছে, কোনদিকে মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
হেফাজত সত্যি কী ‘মুচলেকা’ দিয়েছে, কোনদিকে মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের কাছে ‘মুচলেকা’ দিয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান দাবি করেছেন, হেফাজত কোনো মুচলেকা দেয়নি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বন্ধ করুন। এক্ষেত্রে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে সরকার নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে মামুনুল হকের বিষয়ে সরকারের জোর আপত্তি আছে।

গত ডিসেম্বরে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠনটির নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এর সংগঠনটির যেসব নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার বা আটক আছে তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর আশা করছে। যাকে রাজনৈতিক মহল হেফাজতের প্রতি সরকারের নমনীয় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের শর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে 'বিব্রত না করার অঙ্গীকার' করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তির বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে সংগঠনটির নেতা মামুনুল হকের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে এখনো তীব্র আপত্তি আছে।

যদিও গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের ‘মুচলেকা’ দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। 

শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি গণমাধ্যমে হেফাজতকে জড়িয়ে কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছে। একই সঙ্গে হেফাজত রাজনীতি না করার বিষয়ে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. হেফাজতকে প্রতিষ্ঠাই করেছিলেন অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় আধ্যাত্মিক সংগঠন হিসেবে। হেফাজত কোনোকালেই নিজেদের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করেনি, আগামীতেও করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন এবং অতীতেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তাই নতুন করে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রশ্নই অবান্তর।’

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ‘সেই ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। কেউ কেউ নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেফাজতকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলছেন, হেফাজত 'বিএনপির ফাঁদে পা' দিয়ে আগে ভুল করে ছিলো এবং পরে সেই ভুল তারা বুঝতে পেরেছে। 

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলছেন, ‘সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সবার কথা শুনেন এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাদের কথাও শুনেছেন।’

গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা এবং স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদেরকে ছিনিয়ে নেন।

ঘটনার ১৫ দিন পর গত বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ। রয়েল রিসোর্ট–কাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বর  মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2