• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সিলেট-আখাউড়া পথের রেল যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

জালাল উদ্দিন

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৬:৪৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
সিলেট-আখাউড়া পথের রেল যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

সিলেট-আখাউড়া রেল পথে চলাচলকারী ৪টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে ৩টি ট্রেন দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। লোকবলের সংকট দেখিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে এসব লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখেছে। বর্তমানে সিলেট-ঢাকা রোডে চলাচলকারী একমাত্র ট্রেন সুরমা মেইল চালু থাকলেও সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে যাওয়া-আসা না করায় স্থানীয় লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।

স্থানীয় যাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, একসময় সিলেট-চট্রগ্রাম রোডে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় ট্রেন জালালাবাদ এক্সপ্রেস, সিলেট-আখাউড়া রোডে কুশিয়ারা এক্সপ্রেস এবং এই রোড দিয়ে চলাচলকারী একমাত্র ডেমু ট্রেন নিয়মিত যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করতো। কিন্তু রেলওয়ে কতৃপক্ষ লোকবলের সংকট ও অন্যান্য অজুহাত দেখিয়ে করোনাকালীন সময় থেকে জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ২০১৯ সাল থেকে ডেমু এবং প্রায় ২ বছর থেকে কুশিয়ারা এক্সপ্রেস লোকাল ট্রেনগুলো এ রোড দিয়ে যাতায়াত একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অধিকাংশ লোকাল স্টেশনের যাত্রীরা ট্রেন যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে।

একমাত্র লোকাল হিসেবে সিলেট-ঢাকাগামী সুরমা মেইল ট্রেন চালু থাকলেও সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে না পারায় যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে সড়ক পথে বাস, সিএনজি সহ অন্যান্য গাড়ির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এতে বিভিন্ন লোকাল স্টেশনে যাত্রী ও মালামাল বহনে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সিলেট অঞ্চলের মৎস্য ও সবজী ব্যবসায়ীরা।

চট্রগাম থেকে ইলিশ মাছ আমদানি করা ব্যবসায়ী কুলাউড়ার গিয়াস উদ্দিন ও আয়াজ আলী বলেন, জালালাবাদ ট্রেনটি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় সবচেয়ে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সাগরের মাছ ও চাদপুরী ইলিশ মাছ আগে খুব সহজে চট্রগ্রাম স্টেশনে বুকিং দিয়ে জালালাবাদ ট্রেনে করে ব্যবসায়ীরা যার যার স্টেশনে নিয়ে আসতে পারতো। এতে মালামাল বহনে ব্যয়ও কম হতো কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় দিগুণ খরচ দিয়ে বিকল্প পথে এসব আমদানি করা সুস্বাদু মাছ বিক্রি করে তেমন আয় করা সম্ভব হচ্ছে না বর্তমানে।

সিলেট- আখাউড়া রেল পথে বিভিন্ন লোকাল স্টেশনের যাত্রীদের দাবি যতো দ্রুত সম্ভব পুনরায় এসব ট্রেনগুলো চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাষ্টার মো. মুহিব উদ্দিন আহমদ লোকাল ট্রেনগুলো বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খুব শিগগিরই কর্তৃপক্ষ পুরাতন আন্তনগর ট্রেনের বগিগুলো মেরামত করে কুশিয়ারা ট্রেন চালু করা হবে। ডেমু ট্রেনটি যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। তবে জালালাবাদ ট্রেনটি বন্ধ থাকলেও মাছসহ মালামাল বহনকারী কয়েকটি বগি চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লোকাল ট্রেনের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। পরে আখাউড়া স্টেশনে সেই সব বগিগুলো ওই ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সুরমা মেইল ট্রেনের সাথে সংযুক্ত করে সিলেটের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা মালামাল এভাবেই আপাততো বহন করা হচ্ছে। ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় অনেক লোকাল স্টেশনের যাত্রীরা যাতায়াতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: