• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ৩১ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

তিন দিনের মাথায় রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গর্ত হয়ে গেছে

জামালপুরের মাদারগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভা এলাকার খলিলের মোড় হতে জামথল গ্রামী সড়ক পুনরায় নির্মাণের সময় ব্যাপক অনিয়ম করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোক জন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  প্রকৌশলীর গাফলতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের কার্পেটিংয়ে অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। যার কারণে সপ্তাহ না ঘুরতেই সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সরজমিন ঘুরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

সড়ক ও জনপথ অফিস  প্রকল্প  সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ (অর্থ বছর) এর মার্চ মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী পশ্চিম পাড়া খলিলের মোড় হতে জামথল যাওয়ার ১৭০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্রে কাজের মধ্যে ছিল, মাটি কাটা,সলিং,এইচবিবি, কারপোটিং ও পেরাসাইটিং। এই প্রকল্পটি বরাদ্দ হয় ৩৭ লক্ষ টাকা। 

আর ওই নির্মাণ কাজ করেন জামালপুর  জেলার মেসার্স মল্লিক ইন্টার ট্রেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বালিজুড়ী পশ্চিম পাড়া এলাকার অটো রিকশা চালক নক্কু  বলেন, গত তিন দিন আগে এই রাস্তাটির কাজ শেষ হয় । কিন্তু  তিন দিনের মাথায় সম্পুর্ন রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গর্ত হয়ে গেছে। গাড়িতে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে  গেলে  এই ভাঙ্গা গর্ত গুলোর জন্য অনেক সময় অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনায় ঘটে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন  প্রকৌশলীর মদদে ঠিকাদারের লোকজন সড়কে নিম্নমানের পাথর ও বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ কাজ করেছে। কোথাও কোথাও বিটুমিন কম দিয়ে পোড়া মবিল বেশি ব্যবহার করেছেন। যার কারণে সড়ক কার্পেটিংয়ের সপ্তাহ না ঘুরতেই বেশিরভাগ স্থানে আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার শিপলু জানান, বৃষ্টি কারণে কার্পেটিং উঠে গেছে। যে কারণে নতুন করে আবার ওই স্থানগুলোতে কাজ করে দিতে হচ্ছে। এ জন্য আমাদের ক্ষতিপুরন দিতে হচ্ছে। কাজের গুনগত মান নিয়ে ঝামেলা থাকলে কতৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ জামালপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজের এখনো কোন বিল ছাড় দেওয়া হয়নি। শুনেছি রাস্তাটির কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গেছে, নষ্ট হওয়া জায়গায় নতুন করে কাজ করে ঠিক করে দেওয়া হবে।
 

মন্তব্য করুন: