শীতে অজু ও নামাজ সম্পর্কে রাসুল (সা.) এর বিশেষ সুসংবাদ
দেশজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। চরম শীতে বিপর্যস্ত মানুষ। হাড় কাঁপানো শীত আর কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে বিভিন্ন জনপদ। কিন্তু এই শীত উপেক্ষা করেও যারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে অজু-গোসল-নামাজ ঠিকঠাকভাবে আদায় করবে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ।বিষয়টি ওঠে এসেছে হাদিসের বর্ণনায়।
শীতের সময় অযুর মাধ্যমে নামাজ আদায়কারীদের জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ সুসংবাদ ও পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। কী সেই সুসংবাদ? কী সেই বড় পুরস্কার? শীতের সময় প্রচণ্ড ঠান্ডায় যাতে কেউ অজু করতে অবহেলা না করে, সে কারণে অজু ও নামাজের প্রতি যত্নবান হতে এবং বড় পুরস্কার ও ফজিলতের কথা ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবী (সা.)।
মুসলিম শরীফে এসেছে, أَلَا أَدُلّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدّرَجَاتِ؟ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ…
‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না! যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তোমাদের গোনাহসমূহ মিটিয়ে দেবেন (তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন) আর (আল্লাহর কাছে) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করে দেবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন- অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল! মহানবী (সা.) তখন বললেন- (শীত বা অন্য যে কোনো ঠাণ্ডার) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা।’ (মুসলিম)
এছাড়া শীতের সময়ে নামাজ পড়ার ব্যাপারে রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ। হাদিসের বর্ণনায় তা এভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত আবু বকর ইবনু আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
‘যে ব্যক্তি শীতের সময় দুই (ফজর ও আসরের) নামাজ আদায় করবে; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা হাদিসে ঘোষিত সুসংবাদ ও পুরস্কার লাভে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপক্ষো করে আমাদেরকে যথা সময়ে অজু ও নামাজ আদায়ে মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: