• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

যে পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে গুনাহ মাফ হয়

মঈনুদ্দীন শামীম, সৌদি আরব থেকে

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ৩ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৩:৪৮, ৪ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
যে পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে গুনাহ মাফ হয়

‘হাজরে আসওয়াদ’—কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। 

হাদিসের গ্রন্থগুলোতে হাজরে আসওয়াদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রচুর আলোচনা এসেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতি পাথর, তার রং দুধের চেয়ে বেশি সাদা ছিল। এরপর বনি আদমের পাপরাশি এটিকে কালো বানিয়ে দিয়েছে।’ (জামে তিরমিজি : ৮৭৭, মুসনাদে আহমাদ, ১/৩০৭, ৩২৯)

আসওয়াদ কাবা ঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি  স্পর্শ বা চুম্বন করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে গুনাহ মাফ হয়। হাদিসে আছে “হাজরে আসওয়াদের একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট রয়েছে, যে ব্যক্তি তাকে চুম্বন বা স্পর্শ করলো কেয়ামতের দিন সে তার পক্ষে সাক্ষী দিবে।“ 

এই হাজরে আসওয়াদ কাবা ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, ভুমি থেকে ০১.১০ মিটার উপরে স্থাপিত। এ পাথরের দৈর্ঘ্য ২৫ সে মি ও প্রস্থ ১৭ সে মি। প্রথমে এটি একটি বড় পাথর ছিল, কারামিতা নামক একটি সম্প্রদায় ৩১৯ হিজরিতে পাথরটি তুলে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যায়। সে সময় পাথরটি ভেঙ্গে ৮ টুকরো হয়ে যায়। 

টুকরোগুলতে সবচেয়ে বড়টি খেজুরের মত। বর্তমানে ঐ টুকরোগুলো অন্য একটি পাথরে প্রতিস্থাপন করে চারপাশে রূপার বর্ডার দেওয়া হয়েছে। রূপার বর্ডার বিশিষ্ট পাথরটি নয় বরং তাতে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদের টুকরোগুলো চুম্বন বা স্পর্শ করলেই কেবল হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বা স্পর্শ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। 

সহিহ হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে নেমে আসা একটি পাথর। যার রং শুরুতে দুধের বা বরফের চেয়েও সাদা ছিল, পরে মানুষের পাপ তাকে কালো করে দেয়। তবে বুখারি শরিফের এক হাদিসে আছে, “এটি কেবলই একটি পাথর যা কারও কল্যাণ বা অকল্যাণ কোনটিই করতে পারে না।“ 

কাজেই পাথরের কাছে নয়, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাথরটি স্পর্শ বা চুম্বন করলেই কেবল নিষ্পাপ বান্দা হওয়া সম্ভব।

 


 

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2