• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

আরিফ-অর্জুনের সড়কে প্রাণ হারানোর ১ মাস, বিচারের দাবিতে কর্মসূচি

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আরিফ-অর্জুনের সড়কে প্রাণ হারানোর ১ মাস, বিচারের দাবিতে কর্মসূচি

রাজধানীর বাংলামোটরে আরিফ-অর্জুনের সড়কে প্রাণ হারানোর ১ মাস পেরিয়েছে। তাদের দুজনকের স্মরণে সড়কে প্রাণ হারানো প্রাণের অপচয় প্রতিরোধ ও বিচারের দাবিতে ‘আমরা দাঁড়াবো একসাথে’ কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিউ ইস্কাটন রোডের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সড়কে ট্রাক চাপায় প্রাণ হারানো আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সৌভিক করিম অর্জুনের বন্ধু-সুহৃদ-স্বজনরা।

প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড এবং আরিফ ও সৌভিক করিমের বন্ধু স্বজনেরা।

জোনায়েদ সাকি বলেন, “নানা সংবাদমাধ্যম থেকে দেখা যায় গত নভেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেন এর মধ্যে মোটরবাইকে মৃত্যুবরণ করেন ১৭৩ জন। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বিষয়গুলো উদঘাটন করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সড়কে কাঠামোগত হত্যা থামছেই না। বরং প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নাই; কেবল নৈরাজ্যই চলছে। সরকার কায়েমী স্বার্থের কাছে মাথা নত করে নাগরিকদের জীবনকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিয়েছে।” 

সমাবেশ থেকে বক্তাগণ গুরুত্বপূর্ণ ৭ টি দাবি তুলে ধরেন- 
> চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। চালকদের কর্ম ঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে এবং মাসিক বেতনের ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করতে হবে।

> ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের দুর্নীতি নিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং মালিক চালক বিআরটিএ আইন প্রয়োাগকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

> দুর্ঘটনা প্রবণ ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

> সড়কে যানবাহনের জন্য লেন প্রথা চালু করতে হবে মহাসড়কে ডিভাইডা বাধ্যতামূলক করতে হবে। নিয়মিত সড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

> পরিবার প্রতি গাড়ি সংখ্যা সীমিত করতে হবে, একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি দ্বিগুণ, চতুর্গুণ এভাবে বাড়াতে হবে।

> পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে নৌপথ ও রেলপথ এর উপর গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।

> জলাভূমি দখল মুক্ত করতে হবে, নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে। রেলপথে রুট সংখ্যা ও গাড়ি সংখ্যা জনসংখ্যা অনুপাতে বাড়াতে হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: