• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

কলাবাগান থানার ওসির বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১২ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪৪, ১২ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
কলাবাগান থানার ওসির বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা

রাজধানীর কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা কোটি টাকা চাঁদা দাবিসহ সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই অভিযোগে এর আগেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সম্প্রতি অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জিসানুল হকের সই করা তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত না হয়ে বাসায় অবস্থান করায় মোক্তারুজ্জামান দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় টিম ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিনের অপেশাদারিত্বের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবদুল ওয়াদুদের বাসায় বহিরাগতরা প্রবেশ করে যে মব তৈরি করেছিল, তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এসআই বেলাল উদ্দিন।

জানা যায়, এরইমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে জমা দেয়া হয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি জোনের উপপুলিশ কমিশনার জিসানুল হক বলেন, এ ঘটনায় নিরপরাধ কোনো পুলিশ সদস্য যেন ভুক্তভোগী না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কলাবাগান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। সেদিন মধ্যরাত হওয়ায় আমি বাসায় অবস্থান করেছিলাম, কিন্তু অভিযোগকারী কেন নামে অভিযোগ দিলেন সেটি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাব–এমনটা প্রত্যাশা করছি।’

উল্লেখ্য, গত ২ মে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আবদুল ওয়াদুদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি জানান, এসআই বেলাল ও মান্নান তাকে থানায় না নেওয়ার শর্তে ১ কোটি টাকা দাবি করেন। পরে দেন-দরবারের পর ২ লাখ টাকা দিলে তাকে কিছু সময়ের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে ডিবি পরিচয় দেওয়া তিন জন সিভিল পোশাকধারী তার বাসায় পাহারায় রেখে যান। তবে পুলিশি অভিযানের সময় কোনও মামলার কাগজপত্র দেখানো হয়নি। তিনি আরও জানান, তার বাসায় থাকা বিদেশি দুর্লভ পাখি, ম্যাকাও, কাকাতুয়া, রেইনবো লরি ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি অনুমোদন নিয়ে পরিচালিত মিনি চিড়িয়াখানার একটি গর্ভবতী হরিণ পুলিশের অভিযানের আতঙ্কে ছোটাছুটির সময় মারা যায়।

পুলিশ সদস্যরা কম্পিউটারের পিসি, ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও নিয়ে যায়। অভিযানের সময় কলাবাগান থানার ওসি বাইরে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে মোক্তারুজ্জামান ও বেলালের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছিলেন আবদুল ওয়াদুদ। পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। পরে ৫ মে ওসি মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: